Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওমান ৭ ওভারে ৪১/২ (বাংলাদেশ ১৮০/২)
4kখোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০১৬ : ওমানের বিপক্ষে প্রথম আঘাত তাসকিন আহমেদের। তার বলে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জিশান মাকসুদ (২ বলে শূন্য রান)। চতুর্থ ওভারে আঘাত হানেন আল আমিন হোসেন। তার বলে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান খাওয়ার আলি (১৪ বলে ৮ রান)।
ওমানের ইনিংসের সাত ওভার শেষে বৃষ্টি নেমেছে ধর্মশালায়। আর খেলা না হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে জিতবে বাংলাদেশ।
তামিম ইকবালের দুর্দান্ত শতকে ওমানের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ তুলেছে বাংলাদেশ। মাশরাফির দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেতে ১৮১ রান চাই আরব দেশটির।
অফ ড্রাইভে বল বাউন্ডারির দিকে যেতেই ছুটতে ছুটতেই হেলমেট-ব্যাট উইকেটে রাখলেন তামিম। উল্টো ফিরে ছুটলেন ড্রেসিং রুমের দিকে, শূন্যে লাফ; যেন ছুঁতে চাইলেন আকাশ! এই শটে আকাশই ছুঁয়েছেন তামিম। স্পর্শ করেছেন নতুন দিগন্ত। অবসান হয়েছে বাংলাদেশের অপেক্ষার। তামিমের প্রথম টি-টোয়েন্টি শতক, টি-টোয়েন্টিতে দেশের প্রথমও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে ওঠার লড়াইয়ে ওমানের বিপক্ষে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮০ রান করেছে বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরির আগেও আরেকটি মাইলফলক ছুঁয়ছেন তামিম। বাংলাদেশের প্রথম হিসেবে স্পর্শ করেছেন ১ হাজার টি-টোয়েন্টি রান।
এর আগেও দু দফায় পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করেছিলেন তামিম। কোনোবারই ছাড়াতে পারেননি আশির গণ্ডি। এবার নিজেকে ছাড়ালেন, ছাড়িয়ে গেলেন দেশের সবাইকেও।
বাংলাদেশের শুরুটা যদিও ছিল বলা যায় বিভ্রান্তিকর। ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি টি-টোয়েন্টিতে বেশ ভালো সূচনা। কিন্তু লেগে যায় প্রায় ৭ ওভার!
এক পাশে বাঁহাতি পেসার বিলাল খান ও আরেক পাশে অফ স্পিনার আমির আলিকে দিয়ে বোলিং শুরু করে ওমান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এই দুজন ডানা মেলতে দেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে।
তামিম অবশ্য খেলছেন স্বচ্ছন্দেই। তবে ধুঁকেছেন সৌম্য। ফর্মে নেই তিনি বেশ কিছুদিনই হলো। তবে এদিন একদমই ছিলেন নিজের ছায়া। মনে হচ্ছিল, ব্যাটিংয়ের চেয়ে দু:সাধ্য কিছু আর নেই! তামিম বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করে গেলেও সৌম্য খেলেছেন প্রায় দ্বিগুণ বল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রান আসে মাত্র ২৯!
বাঁহাতি স্পিনার অজয় লালচেতাকে টানা দুবলে দারুণ দুটি চার ও ছক্কায় শেকল ভাঙার চেষ্টা করেন তামিম। তবে ওই ওভারেই দু:স্বপ্ন থেকে মুক্তি পান সৌম্য, ডাউন দা উইকেট বাজে এক শটে বোল্ড (২২ বলে ১২)।
সাব্বিরকে সঙ্গী পাওয়ার পর দলের ইনিংসটাকে দারুণ গতিময় করেন তামিম। ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যান দারুণ সব শটের প্রদর্শনীতে দুজন মুহূর্তেই বদলে দেন ম্যাচের চিত্র।
বাঁহাতি স্পিনার আমির কালিমকে চার মেরে তামিম স্পর্শ করেন পঞ্চাশ, ৩৫ বলে। পরের বলেই ডাউন দা উইকেটে ছক্কায় উদযাপন করেন অর্ধশতক। লেগ স্পিনার খাওয়ার আলিকে ৯৬ মিটার ছক্কায় গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন সাব্বির। তামিম যেন পাল্লা দিতে চাইলেন একই বোলারকে ৯৪ মিটারের ছক্কায়।
৫৫ বলে ৯৭ রানের জুটি ভাঙে নিরীহ এক ডেলিভারিতে। খাওয়ারকে সুইপ করতে গিয়ে পায়ের পেছন দিয়ে বোল্ড হন সাব্বির (২৬ বলে ৪৪)।
তামিম তাতে দমে যাননি। ওমানের ‘মালিঙ্গা’ মুনিস আনসারিকে ছক্কায় পা রাখেন নব্বইয়ে। শতকের আগে অবশ্য একটু থমকে গিয়েছিলেন। ৯৭ রানে ডট বল খেলেছিলেন ৩টি। এরপরই ওই অফ ড্রাইভে চার মেরে মুক্তির আনন্দ!
শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত তামিম। ১০টি চারের পাশে ছক্কা ৫টি। যেটিতেও স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশের রেকর্ড। এর আগে ইনিংসে ৫টি ছক্কা মেরেছিলেন নাজিমউদ্দিন ও জিয়াউর রহমান।
শেষ দিকে ৯ বলে ১৭ রানে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন সাকিব। ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টির যাবতীয় অনিশ্চয়তাকে মাথায় রেখেও বলা যায়, বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে মোটামুটি নিরাপদ ঠিকানায়।