খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০১৬ : জেল-জরিমানা বন্ধ ও জমা কমানোসহ কয়েকটি দাবিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘটের মধ্যে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদেরও আইনের আওতায় থেকে কাজ করতে হবে।
তবে সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমার পরিমাণ ৯০০ টাকার বেশি যাতে চালকদের কাছ থেকে নেওয়া না হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
রোববার সকালে সবুজ সিএনজি অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মাথায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন খাতের সমস্যা নিয়ে একটি সভা হয়। স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা (অটোচালক) যে বিষয়টি উত্থাপন করছে তাদেরকে তো আইনের মধ্যে চলতে হবে। ইচ্ছেমতো ভাড়া নিবে, যেখানে সেখানে পার্কিং করবে-এ ব্যাপারে জনস্বার্থে পুলিশকে এনফোর্সমেন্টে যেতে হবে।”
গত ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার নতুন ভাড়া কার্যকর হয়েছে। নতুন হারে নির্ধারণ হয়েছে দৈনিক জমার পরিমাণও।
তবে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগের মধ্যে ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কয়েকজন চালককে শাস্তি দেওয়া হয়। যত্রতত্র পাকিংয়ের জন্যও শাস্তি পান অনেকে।
এ প্রেক্ষাপটে জেল-জরিমানা বন্ধের পাশাপাশি কারাবন্দি সব অটোরিকশাচালকের মুক্তি, নির্ধারিত ৯০০ টাকা জমার ক্ষেত্রে শ্রমিক-স্বার্থ পুনর্বিবেচনা, পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে ‘নো-পার্কিং’ মামলা না করা, গাড়ির ফিটনেসের ক্ষেত্রে ইকোনমিক লাইফের সীমা বাড়ানো, শ্রম আইন অনুসারে সব চালকের জন্য নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা এবং নতুন পাঁচ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে বিতরণের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেছেন চালকরা।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, “এইসব ব্যাপারে তাদের (চালকদের) স্বার্থও দেখতে হবে, তারা গরীব মানুষ গাড়ী চালায়।”
নতুন পাঁচ হাজার অটোরিকশা চালকদের মধ্যে বিতরণের দাবি বিবেচনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রয়োজন হবে এবং মতামত পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব। উচ্চ আদালতের নির্দেশও যথাযথভাবে পালন করা হবে।”
চালকদের দৈনিক জমার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “জমার ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই বেশি নেওয়া যাবে না। ৯০০ টাকার বাইরে নেওয়া যাবে না। এই জমা নিয়ম মতো নিতে হবে।”