Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

8kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০১৬ :  নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলার একটি বাতিল চেয়ে র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া । অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মনিরুজ্জামান কবির।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি মামলা করার ১২ দিন পর নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার মামলা করেন। একই ঘটনায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলতে পারে না। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তাই এটি বাতিল করা প্রয়োজন। এই যুক্তিতে দ্বিতীয় মামলাটি বাতিল চেয়ে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি।
এ আবেদনের শুনানির সময় আদালতে গোলাম কিবরিয়া বলেন, একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না। একই ঘটনায় একই অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। একই জবানবন্দি দেয়া হয়েছে। একই সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে। তাই একই ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ৫৬১(ক) অনুযায়ী মামলা চলতে পারে না। আমরা এ মামলা বাতিল চাই। আদালত শুনানী শেষে আজ মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার‌্য করেন।
এর আগে গত ৭ মার্চ এ আবেদনের ওপর শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি এ এস এম নাজমুল আহসানের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর আবেদনের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি নতুন করে বেঞ্চ গঠনের পর এই আবেদনের নতুন করে শুনানি শুরু হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্র“য়ারি ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৬১ (ক) ধারায় মামলা বাতিল চেয়ে আবেদনটি দায়ের করা হয়। নারায়গঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজর কুমার পাল এই মামলা করেছিলেন। আবেদনে ওই মামলা বাতিল চাওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথকভাবে দুটি মামলা করেন।