Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখোলা বাজার২৪, রবিবার, ২০ মার্চ ২০১৬ : দুই মন্ত্রীর ব্যাখ্যার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, দুই মন্ত্রীই শপথ ভঙ্গ করেছেন। যে কোনো ব্যক্তি যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে সোজা পথে চলবে। আদালত অবমাননায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ব্যাখ্যার বিষয়ে আগামী ২৭ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে উচ্চ আদালতের তলবে সকাল ৯টার দিকে কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক আদালতে হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হলে প্রধান বিচারপতি বলেন, যেকোনো ব্যক্তি যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে সোজা পথে চলবে। এর আগে গত ১৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আদালতে উপস্থিত হলেও সরকারি কাজে বিদেশে থাকা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছিলেন না। ওই দিন তাদের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি মুলতবি করে ২০ মার্চ পুনর্র্নিধারণ করেন।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকের বক্তব্যে স্তম্ভিত হয়ে ৮ মার্চ আপিল বিভাগ তাদের তলব করেন। একই সঙ্গে এই দুজনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু সংবাদে বিচার বিভাগ নিয়ে অশোভন ও অবমাননাকর মন্তব্য দেখে আদালত স্তম্ভিত। এসব মন্তব্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল বলে আদালত মনে করেন।
দুই মন্ত্রী ইতিমধ্যে তাদের বক্তব্যের জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ব্যাখ্যা জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মীর কাসেম আলীর রায় ঘোষণার আগে গত ৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভায় সরকারের ওই দুই মন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। ওই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতির একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি আবার করা উচিত।
আর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি যদি উন্মুক্ত আদালতে এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে দায়িত্বশীল উচিত। এটা করে থাকলে এটার প্রতিকার কী- এটা তিনি নিশ্চয় জানেন। হয় তিনি এটা প্রত্যাহার করে নেবেন। আর না হয় প্রধান বিচারপতির আসনে থাকার সুযোগ কতটুকু আছে, তা তার ওপরই রাখতে চাই।