খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০১৬: এটিএম জালিয়াতিতে গ্রেপ্তার বিদেশি নাগরিক পিওতর সেজেফান মাজুরেকসহ ছয়জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দেশের সব ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইনানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বাকি পাঁচজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেফাজ আহমেদ, যিনি গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকেন; বাড্ডার রেজাউল করীম ও মাকসুদুল আলম ওরফে মোরশেদ আলম মাকসুদ ( মাকসুদের স্থায়ী ঠিকানা ময়মনসিংহের ভালুকা); একটি মানি এক্সচেঞ্জের কর্মী সাইফুজ্জামান, যিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এবং একটি তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হুমায়ুন কবীর।
বিএফআইইউ দেশের সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এই ছয়জনের পাসপোর্ট নম্বরসহ স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং তাদের ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যাংক হিসাব থাকলে বা আগে পরিচালিত হলে তার তথ্য ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলেছে।
সম্প্রতি ঢাকার গুলশান, বনানী ও মিরপুরের কালশীতে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চারটি এটিএম বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির পর কার্ড ক্লোন করে গ্রাহকের টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যাংকগুলোর ৩৬টি কার্ড ক্লোন করে ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। ওই চক্র অন্তত ১২০০ কার্ডের তথ্য চুরি করে বলে তদন্তে জানা যায়।
ইউসিবি ও সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই তদন্ত করছে।
ওই ঘটনার পর আরও কয়েকটি ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহক তাদের কার্ড ব্যবহার করে অন্য কেউ টাকা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
ইউসিবিএলের মামলার এজাহারের সঙ্গে এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় পাওয়া এক বিদেশির ছবিও দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে ২২ ফেব্র“য়ারি পিওতর ও সিটি ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দফা রিমান্ডে পিওতর এটিএম জালিয়াতিতে তার সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ জন্য জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে।