খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০১৬: কাল রাতটা বিছানায় এপাশ-ওপাশ করেই কাটিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট-প্রেমীরা। তীরে এসে তরি ডোবার দুঃখটা সবার কাছে কেমন ছিল সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যাঁরা দেশের হয়ে লড়ছিলেন, তাঁদের জন্য রাতটা কেমন ছিল, সেটা একবার ভাবুন। শেষ তিন বলে ঐতিহাসিক এক জয় হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দুঃখবোধ তাদের কারওর চেয়েই কম ছিল না, বরং অনেক বেশিই ছিল।
মুশফিকুর রহিমের দারুণ দুটি বাউন্ডারি জয়ের বন্দরে প্রায় পৌঁছে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু ক্ষণিকের ভুলে সেই মুশফিকই আউট হয়ে বিপদ ডেকে আনেন দলের জন্য। মুশফিক যে শটটি খেলতে চেয়েছিলেন নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে এমন শট অনেকবারই খেলেছেন। কিন্তু কাল সত্যিকার অর্থেই ভাগ্য তাঁর সঙ্গে ছিল না। ভাগ্য সঙ্গে ছিল না মাহমুদউল্লাহরও। নয়তো অমন লোভনীয় ফুলটসটা তিনি সীমানা ছাড়া করতে পারলেন না কেন!
হৃদয় ভেঙে দেওয়া এই হারের পর থেকেই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ওই দুটো শট নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বাংলাদেশ দলের অন্দরমহলেও চলছে বিশ্লেষণ, আত্মসমালোচনা। নিজের ফেসবুক পেজেও মুশফিকের আত্মোপলব্ধি, ‘এভাবে আউট হওয়া আমার উচিত হয়নিৃ।’ হারটাও নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান, ‘হয়তো আমার জন্যই দল হেরে গেছে। সে ক্ষেত্রে দেশবাসীর কাছে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
জয়ের এত কাছে এসেও ম্যাচটা হেরে যাওয়ায় দেশের মানুষের দুঃখটাও অনুভব করছেন মুশফিক, ‘আমি জানি গতকালের হারটি আপনাদের জন্য অনেক বেদনাদায়ক ছিল।’
সব শেষে মুশফিক সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের প্রতি ক্রিকেটারদের দায়িত্ববোধের কথাও, ‘দলের সকলেই প্রতিটি ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলে তাই আমার ও দলের সবার জন্যই পরাজয়টা কষ্টকর ছিল।’