খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০১৬: বর্তমান সময়ে নারীরা খুব বেশি রূপ সচেতন হওয়ায় হরহামেশাই তারা ভিড় জমাচ্ছেন রাজধানীর নামি দামী শপিংমলগুলোর কসমেটিকস দোকানগুলোতে। কিন্তু তারা জানে না যে বর্তমান কসমেটিকস এর বাজার খুবই খারাপ। প্রতিটি ভালো মানের পণ্যের সাথে নকল পণ্যও রয়েছে। তবে হতাশার কথা হলো এ ক্ষেত্রে নকল পণ্যেও সংখ্যাই বেশি। এমন তথ্যই দিলেন রাজধানীর নামকরা শপিংমলের এক কসমেটিকস বিক্রেতা।
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকার এমন কোনো শপিংমল নেই যেখানে এই নকল কসমেটিকস পাওয়া যায় না এবং সকলেই জানে এই নকল কসমেটিকস কোথায় তৈরি হয়।’
ঝিকঝাক সাজসজ্জা আর ঝলমলে আলোর ঝলকানিতে সাজিয়ে রাখা রং-বেরঙের এসব প্রসাধনীর বেশিরভাগই বানানো হয় পুরোনো ঢাকার চকবাজারে।
চকবাজারের সাততলা ভবনের চিলেকোঠাতেই তৈরি হচ্ছে ব্যান্ডের বিদেশি শ্যাম্পু। বাথরুমের ড্রামে লবন, গ্লিসারিন, সাদা পাউডার আর পারফিউম মিশিয়েই তৈরি হচ্ছে ভেজাল শ্যাম্পু। ডাব, প্যান্টিন, হিডেন সোলডার, সানসিল্কসহ আরো অনেক উন্নত কোম্পানির শ্যাম্পু, সাবান, বডি স্প্রে, ফেসওয়াস তৈরি হচ্ছে এসব নকল কারখানাগুলোতে।
এই কারখানাগুলোতে প্রতিদিনই হাজার হাজার পিচ দেশি-বিদেশী নামিদামী এই সমস্ত ব্রান্ডের প্রোডাক্ট তৈরি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এ ধরনের নকল প্রসাধনী কারখানা চকবাজারে একটি রয়েছে একাধিক। তাই এসমস্ত কসমেটিকস না বুঝেই কিনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকরা।
এসমস্ত ভেজাল প্রোডাক্ট বিএসটিআই’তে পরীক্ষা করে দেখা গেছে এগুলো মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এইসব নকল প্রসাধনীর বিষাক্ত ক্যামিকেল মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এইগুলো ব্যবহারের ফলে ফুসফুস নষ্টসহ বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম হতে পারে।’
আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী বলছেন, তারা এসব ভেজাল বন্ধের চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।