খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান ক্ষেত্র) তৈরির আহ্বান জানালেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে ভারত সরকারকে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এবং ভারতকে রাজনৈতিক বন্ধুত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বন্ধুত্বদের দিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির এক অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। একই বছর বাংলাদেশ ভারতে মাত্র ৪৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রায় তিন হাজার ধরনের পণ্য আমদানি করে। একইভাবে ভারত যদি আমাদের ব্যবহারিক দ্রব্য আমদানির পরিমাণ বাড়ায় এবং তা যদি শুল্ক বান্ধব হয়, তাহলে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও উচ্চতর রেখায় পৌঁছে যাবে।
স্থলবন্দরগুলোতে আধুনিক লজিস্টিক ও গুদাম সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে আমু বলেন, বন্দরগুলোতে ম্যানুয়াল কাস্টমস কার্যক্রমের পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারেন্স পদ্ধতি চালু করতে হবে। বন্দর সংলগ্ন স্থানে মান সম্পর্কিত পরীক্ষাগার স্থাপন করতে হবে। নিরাপত্তার অজুহাতে পরীক্ষণের নামে অযথা সময়ক্ষেপণের প্রবণতা বাদ দিতে হবে।
বাংলাদেশ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সংস্কৃতিসহ নানা কিছুর মিল আছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দুই দেশই একই সঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী। দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে মঞ্চে পরিবেশিত হয় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক রচিত নৃত্যনাট্য ‘চম্পাবতী’।