খোলা বাজার২৪, রোববার, ২৭ মার্চ ২০১৬ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দিন আর নেই। এক সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। তিনি কেন ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ঘোষণা দেননি এটা নিয়েও কেউ কেউ কথা বলেন। কিন্তু তিনি মূলত ৭ মার্চেই স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। কিন্তু পাকিস্তানিরা তা বুঝতে পারেনি। তবে যাদের বোঝার তারা ঠিকই বুঝে গিয়েছিল।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রোববার বিকালে রাজধানীর খামার বাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব ছিল ১২ থেকে ১৪ হাজার মাইলের। আমরা ছিলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু তারা আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলো। আমাদের সম্পদ নিয়ে তারা ব্যবহার করতো। আমাদের রাষ্ট্রভাষা পর্যন্ত কেড়ে নিতে চাইলো। এটা ছিল আমাদের জাতিসত্তায় আঘাত। মূলত সেখান থেকেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যাত্রা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর জুলুম-অত্যাচার করতে পেরেছে এদেশেরই কিছু তাঁবেদার, পদলেহী ও মুনাফিকের কারণে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বুঝতেন, পাকিস্তানিদের সঙ্গে থাকা যাবে না। এজন্য তিনি পদ কী পেলেন না পেলেন এটা নিয়ে কখনও চিন্তা করেননি। সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। অথচ আমাদের দেশের ইতিহাস হলো মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জন্য দল ছেড়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধুর অবিরাম সংগ্রামের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে বঙ্গবন্ধু কতবার যে কারাগারে গেছেন এর কোনো হিসাব নেই। ৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণার পরই পাকিস্তানিরা বুঝে গিয়েছিল তাদের দিন শেষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় দফা দাবি আদায় করতে গিয়েও আমাদের অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। যখনই বাঙালি জাতি একত্রিত হয়েছে, তখনই তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আর আমাদের ভেতরেই কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রের সহায়তা দিয়েছে। বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে গেছেন।