Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

46kখোলা বাজার২৪, রোববার, ২৭ মার্চ ২০১৬ : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষাখাতে গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে নগন্য হিসেবে দেখা হয়। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। আজ বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (বেনব্যাইস)-এর উদ্যোগে রাজধানীর নায়েম অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গবেষকদের জন্য কোন বয়স নির্ধারণ করা হবে না। অর্থের সীমাবদ্ধতাও থাকবে না। যত বেশি গবেষণা করা হবে ততো বেশি জ্ঞান অর্জন হলে জ্ঞানসম্মত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গবেষণার বিষয় বেরিয়ে আসবে। মানসিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন ঘটলে গবেষণার পরিধি বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। জ্ঞানচর্চা,গবেষণা,নতুন কিছু অনুসন্ধানের আগ্রহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে থাকতে হবে। তিনি বলেন,গবেষণার মাধ্যমে একজন গবেষক উৎকর্ষ সাধন করতে পারে।সর্বোচ্চ গুরুত্ব হিসেবে বিবেচিত হন গবেষণায় নিয়োজিত গবেষকরা। যা কিছুই হোক না কেন গবেষণা প্রথমে অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা লাভ করছে।বিশ্বের অনেক দেশ শিক্ষার এমন উন্নয়নে অবাক হয়। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষার পরিবেশ ও মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের বেতন কাঠামোয় আইনগত ভিত্তি ছিল না। এখন এ কাঠামোর ভিত্তি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন,ব্যানবেইসের পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. হেলালুদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মেজবাহ্উদ্দিন আহমেদ।
উচ্চতর গবেষণা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শিক্ষামন্ত্রণালয় প্রতিবছর গবেষকদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।এ লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি নীতিমালা ২৪ জুন ২০০৮ প্রণীত হয় এবং পরবর্তীতে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে এ নীতিমালা সংশোধন করা হয়। প্রতিটি গবেষণা প্রকল্পের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রেখে ৯০ টি নতুন এবং ৩৬টি চলমান প্রকল্পের মূখ্য গবেষকদের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১২৬ জনকে সহায়তা চেক প্রদান করা হয়।