খোলা বাজার২৪ সোমবার, ২৮ মার্চ ২০১৬: প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ‘বিকৃত’ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে গত ২২ মার্চ প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরিস্থিতি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এবার মনোনয়ন বাণিজ্য তৃণমূল পর্যায়ে চলে গেছে। এটা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকেও ‘বিকৃত’ করেছে। ৮০ এবং ৯০ এর দশকে এই পর্যায়ের নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হতো। ২০০৮ সাল থেকে এটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এবার আবার এই সহিংসতা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া এই নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হয়নি। এটি ‘বিকৃত’ নির্বাচনের প্রতিফলন। আর এই ‘বিকৃত’ নির্বাচনের ফলে মানুষ নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এটি মঙ্গলজনক নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম আরও বলেন, দলভিত্তিক নির্বাচনের কারণেই এটি হয়েছে। এই নির্বাচনের দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর। সুজন মনে করে, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তিনি কমিশনকে দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপে ৭১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ৩৬টি জেলায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ৩২ টিতেই সহিংসতা, অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনের দিনেই সহিংসতায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৭ জন। আহত তিন হাজারের বেশি।
নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরে দিলীপ কুমার বলেন, এ ধরনের ফলাফলের প্রধান কারণ প্রভাবিত ও দখলদারিত্বমূলক নির্বাচন। এ ছাড়া এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই ইসির ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনকে কখনো নিরপেক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।