খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬ : ব্যস্ত রাস্তার মাঝে হঠাৎ নাচে মেতেছিলেন একদল কলেজ শিক্ষার্থী। তাতে বিরক্ত হয়ে এক ছাত্রীর গালে থাপ্পড় কষালেন গৃহবধূ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
ব্যস্ত রাজপথ জুড়ে বিনা নোটিশে নাচতে শুরু করেছিলেন একদল কলেজ শিক্ষার্থী। কেরলের কান্নুর জেলার পাইয়ানুর বাসস্ট্যান্ডের ঘটনায় সাতসকালে বিশাল যানজট তৈরি হয়। জনপ্রিয় পাশ্চাত্য পপ গানের সুরে ছাত্রছাত্রীদের নাচের দাপটে থমকে যায় পথচলতি জনতা। অনেকে নাচিয়েদের তারিফ করে মোবাইলে ছবিও তুলতে থাকেন।
গান শেষ হলে হাততালিতে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা, হাঁটা শুরু করতে যান পথচারীরা। কিন্তু ফের নতুন গানের সঙ্গে আরম্ভ হয় নাচ। এবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে এক গৃহবধূর। নাচিয়ে দলের এক তরুণীর গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন তিনি। হতচকিত শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে গেলে ফুঁসে ওঠেন বধূ। ছত্রভঙ্গ হয় হঠাৎ নাচের আসর। এদিকে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় করছে এই ঘটনার ভিডিও।
কী কারণে আচমকা রাস্তা আটকে নাচতে শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা? জানা গেছে, এর মূলে রয়েছে ফ্ল্যাশ মব-এর জনপ্রিয়তা।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং টিভি শোয়ের দৌলতে ইদানীং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্ল্যাশ মব। আপাত উদ্দেশ্যহীন এই আচরণে মাঝেমধ্যেই মেতে উঠছেন শহুরে মানুষ। কোনো আগাম বিজ্ঞপ্তি বা ঘোষণা ছাড়া ভিড়ে ঠাসা শপিং মল, জনপ্রিয় পর্যটনস্থল অথবা সচল রাজপথের মাঝে গানের তালে হঠাৎ একই ভঙ্গিতে একদল শরীর দোলাতে শুরু করছেন। গান থামলে দ্রুত ভিড়ে মিশে যাচ্ছেন নাচিয়ের দল, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। আপাতদৃষ্টিতে উদ্দেশ্যহীন মনে হলেও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, মনের বিশেষ কোনো ভাব প্রকাশের জন্যই এ হেন দলবদ্ধ নাচের আয়োজন শুরু হয়েছে।
পাশ্চাত্যের অনুকরণে ইদানীং ভারতেও চালু হয়েছে এই প্রথা। সেই জোয়ারে গা ভাসিয়ে কলেজের শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের প্রচারে ফ্ল্যাশ মবিং-এর আয়োজন করেন কান্নুরের কলেজ শিক্ষার্থীরা। বলা বাহুল্য, শেষ পর্যন্ত তাতে যে এমন জনরোষ সৃষ্টি হবে, সে কথা ভেবে দেখেনি কেউ।
গুজব রটেছে, তরুণীকে চড় মারা ওই গৃহবধূ আসলে ওই ছাত্রীরই মা। পড়াশোনা ছেড়ে মেয়েকে রাস্তায় নাচতে দেখেই নাকি তিনি মেজাজ হারান। তবে এই তথ্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ মেলেনি।
সূত্র: এই সময়