Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬ : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিয়ে যারা নেতিবাচক চিন্তা করেছিল, তারা সবাই তাদের ভুলটা বুঝতে পেরেছে। আমরা শুরু থেকে বলে আসছি, বেতন-ভাতার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, মর্যাদার জন্য করছি। ছেলেমেয়েদের জিম্মি করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয় এমন কর্মসূচি গ্রহণ করিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মাকসুদ কামাল বলেন, ওপর গ্রেডে উন্নীত হওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা চাই শিক্ষকদের জন্য বহির্বিশ্ব গমনের যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তা বহাল থাকবে।

লিখিত বক্তব্যে মাকসুদ কামাল জানান, গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো হলো :

১. সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে গ্রেড-৩ অধ্যাপক পদে প্রচলিত নিয়মে পদায়িত হবেন।

২. গ্রেড-৩ অধ্যাপক পদ থেকে গ্রেড-২ অধ্যাপক পদে উন্নীত হওয়ার শর্ত হলো: চার বছর চাকরিকাল এবং স্বীকৃত জার্নালে দুটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে হবে।

৩. গ্রেড-২ অধ্যাপক পদ থেকে গ্রেড-১ অধ্যাপক পদে উন্নীত হওয়ার শর্ত হলো, গ্রেড-২ অধ্যাপক হিসেবে দুই বছর চাকরিকাল, অধ্যাপক হিসেবে ন্যূনতম পাঁচ বছর চাকরিকাল। শিক্ষক হিসেবে সর্বমোট ২০ বছর ন্যূনতম চাকরিকাল এবং সর্বমোট অধ্যাপকের ২৫ শতাংশ।

৪. সুপার গ্রেডে দ্বিতীয় ধাপে উন্নীত হওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এ ক্ষেত্রে নতুন পদ সৃষ্টি করতে হবে, যা প্রক্রিয়াধীন।

বেতন বৈষম্য দূর করে মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।