খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬ : সোহাগী জাহান (তনু) হত্যার বিচারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বেলা একটার দিকে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা দুইটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলছে।
অবরোধের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় দুজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁরা হলেন আশিকুল ইসলাম ও মন্টু। এই দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
অবরোধে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাবিন বলেন, ‘তনুকে ধর্ষণের মতো ঘটনা আমার অন্য বন্ধুদের বেলায়ও তো ঘটতে পারে। আর যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে, সে দাবি নিয়েই আমরা শাহবাগ অবরোধ করেছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া আরেকিন বলেন, ‘তনু হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই। প্রতিদিন আর যেন বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে। এ জন্য আমরা সমবেত হয়েছি।’
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী অর্ণব বিশ্বাস ও অহর্নিশ অহনা বলেন, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে তাঁরা এখানে এসেছেন।
‘আমরা তনুর ভাইবোন, তনু হত্যার বিচার চাই’, ‘শেষবারের মতো বলছি সংযত হও’—এরকম নানা পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যানজট যাতে না হয়, এ জন্য শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইস্ট ওয়েষ্টের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ: সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায় আফতাবনগর সংলগ্ন গ্রগতী সরণীতে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচির কারণে দুপুর দেড়টা থেকে একটা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ওই সড়কের এক পাশে যান চলাচল কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। তবে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ। তাঁরা তনু হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যানার বহন করেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সেখানে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কামরুজ্জামান বলেন, কর্মসূচির কারণে যান চলাচলে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। তবে এতেবারেই বন্ধ হয়ে যায়নি।
গুলশান জোসের সহকারি পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি পালন করে চলে গেছেন। এখানে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি।