খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬ : সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগের রাতের অনিয়ম রোধে ব্যর্থতার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার ও পাঁচ ওসি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারা ইসির সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের সামনে উপস্থাপন হন।
তবে ইসির ওই অংশে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেওয়ায় তাদের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
অনিয়ম-গোলযোগের অভিযোগের মধ্যে ইউপি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনায় থাকা ইসি এই পুলিশ কর্মকর্তাদের তলব করে।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে অনিয়ম রোধে কঠোর নির্দেশনার পরও যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা।
নবম ইউপি ভোটের প্রথম ধাপে গত ২২ মার্চ সারাদেশে ৭১২টি ইউপিতে ভোট হয়। আগের রাতে সাতক্ষীরার তালা, সদর উপজেলা, শ্যামনগর, কলারোয়া ও বেদহাটা উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
সে রাতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকানোর অভিযোগে ভোটের সকালেই তালার কুমিরা ইউপির তিনটি, সদর উপজেলার আলীপুরের চারটি, শ্যামনগরের কৈখালীর তিনটি, কলারোয়ার কুশডাঙ্গার দুটি ও কেরালকাতার একটি এবং বেদহাটার পারুলিয়া ইউপির একটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি।
ইউপিতে দলীয় প্রতীকে প্রথম এই ভোটে গোলযোগ-অনিয়মের কারণে ১৩ জেলার ৬৫টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।
ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি রকিবউদ্দীন বলেন, “যেসব এলাকায় অনিয়ম রোধে পুলিশ প্রতিরোধ করলই না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মামলা করা হবে। আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি।”
সাতক্ষীরার ওই ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে পুলিশ সদস্যরা গুলি করে অনিয়ম প্রতিহত করে। অনিয়মের ঘটনায় ১১টি কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তেরও সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।