Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

11খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬ : সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনের তথ্য উপস্থাপন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ৩ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ দরিদ্র অর্থাৎ জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ দরিদ্র। যার মধ্যে ১ কোটি ৫৭ লাখ মানুষ অতি দরিদ্র যা মোট জনগোষ্ঠির ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লারে ভিআইপি লাউঞ্জে খাদ্য অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ তথ্য উপস্থান করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ।
মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী।
মহসিন আলী বলেন, দারিদ্র্যের হার কমলেও দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা এখনও ১৯৯০ সালের মতো প্রায় ৪ কোটি। এর মধ্যে অর্ধেক জনগোষ্ঠি দুই বেলা প্রয়োজনীয় খাবার পায় না। পরিসংখ্যানিই স্পষ্ট, সমগ্র জনগোষ্ঠির এক বিশাল অংশ দরিদ্র থেকে ক্রমাগত দারিদ্রতার ঝুঁকির মধ্যে থেকে স্থায়ী ভাবে নীচের ধাপে অবস্থান করেছে।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশননের চেয়ারম্যান ড.কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের বলেন, আমাদের পুষ্টি দেয় এমন নিরাপদ খাদ্য খাওয়া উচিত। বিশেষ করে দেশের উন্নতির জন্য মানুষেদের এ সব নিরাপদ খাদ্য স্বংয়সম্পন্ন করতে হবে । মানুষ ছাড়া উন্নতি করা যায় না। সেই জন্য তার ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। সে সমাজে সকল রকমের সুবিধা দিতে হবে। সকলকে টেকশই উন্নয়নের জন্য এগিয়ে নিতে সবাইকে উৎসাহিত করতে হলে সবাইকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য ও সকলের খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের সুপারিশমালা গুলো হলো: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যতদ্রুত সম্ভব দেশব্যাপী ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ এর জনবহুলসহ সকল কাযক্রম বিস্তৃত করা।
‘নিরাপদ খাদ্য আইন‘ ও জনগণের কিরণীয় সম্পর্কে তৃণমূল পযায় পযন্ত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবিলম্বে সরকারি, বেসরকারি ও সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের উদ্যোগ গ্রহন করা।
নিরাপদ খাদ্য আইনের বিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পযায়ে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
নিরাপদ খাদ্যের ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিচারের জন্য দ্রুত সম্ভব বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত কাযকর করার মাধ্যমেও প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা। খাদ্য অধিকার বাস্তবায়নে সরকার কর্তৃক অবিলম্বে আইনী কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহন করা।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিম লিডার ক্যাথরিন সিসিল, বাংলাদেশ সেইভ এগ্রো ফুড এফোর্টসের সভাপতি ড. জয়নাল আবদীন, উইন এন্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার নুরুল আমিন প্রমুখ।