Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

44খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬ : কুমিল্লায় ‘ধর্ষণের’ পর খুন হওয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে সেনাবাহিনীর ‘সন্তান’ দাবি করে এ ঘটনায় দোষীদের ধরতে সহযোগিতার কথা বলেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে তনুর লাশ উদ্ধারের পর এক সপ্তাহের বেশি সময়েও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। খুনি ধরতে বিলম্বের জন্য এ ঘটনায় ‘অসাধারণ’ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহের কথা জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
এর মধ্যে মঙ্গলবার আইএসপিআর-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেন বিগত ৩০ বছর যাবৎ কুমিল্লা সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একজন বেসামরিক কর্মচারী, যিনি আমাদের সেনা পরিবারেরই সদস্য এবং তনু কুমিল্লা সেনানিবাসে বড় হয়েছেন, ও আমাদেরই সন্তান।
“তনুর এহেন মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রতিটি সেনাসদস্য দারুণভাবে ব্যথিত ও মার্মাহত।”
সেনাবাহিনীকে ‘জনসাধারণের অংশ’ অভিহিত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
“সেনাবাহিনীও প্রত্যাশা করে দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।”
সেনাবাহিনী তদন্ত প্রক্রিয়ায় আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
“ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তনুর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।”
তারপরেও কোনো কোনো মহল বিষয়টি নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানোর চেষ্টা করছে অভিযোগ করে আইএসপিআর বলেছে, “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রথম থেকেই সকল তদন্তকারী সংস্থাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা আন্তরিকতার সাথে প্রদান করছে।
“অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর সম্পর্কে অনুমাননির্ভর বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা মোটেই কাম্য নয়।”
এ বিষয়ে সবার ‘দায়িত্বশীল’ বক্তব্য ও প্রচার প্রত্যাশা করা হয়েছে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।