খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০১৬: মানবদেহে চিনির ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে অতীতে তেমন একটা প্রচার-প্রচারণা না থাকলেও সম্প্রতি এ নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই নড়েচড়ে বসেছে। এই ধারায় থাইল্যান্ডের ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এতে উঠে এসেছে চিনির বহু ক্ষতিকর দিক, যা জানতে পারলে আপনি হয়ত আর আগের মতো দৃষ্টিতে চিনির দিকে তাকাবেন না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব থাইল্যান্ড চিনির ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে প্রচারণায় যে ছবি, বাক্য ও শব্দগুলো ব্যবহার করছে, তা সাধারণত আগে ব্যবহৃত হয়নি। এসব বাক্যের ব্যবহারে চিনির মারাত্মক ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার ফলে তা নিয়ে ব্যবহারকারীরা সচেতন হবে, এমনটাই ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
এ প্রচারণায় ব্যবহৃত হচ্ছে- ‘চিনি মৃত্যুর কারণ’ এমন ধরনের বাক্যও। এছাড়া চিনির কারণে সংক্রমণের সৃজনশীল চিত্র ও আঘাতের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া চিনির কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও তা নিরাময়ের ধীরগতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে প্রচারণায়।
চিনির বিরুদ্ধে প্রচারণায় একটি ছবিকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সে ছবিতে ঠিক দেহের কোনো সংক্রমণের মেডিকেল ইমেজ ব্যবহৃত হয়নি। তবে মেডিকেল ইমেজের মতোই একটি আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের অংশগুলোকে চকলেট ও অনুরূপ মিষ্টি পদার্থ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। এছাড়া অন্য একটি ছবিতে একটি আঘাতপ্রাপ্ত পা-কে আইসক্রিমের মতো রূপ দেওয়া হয়েছে। এখানে লাল কেককে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। ভীতিকর এসব ছবি চিনি ব্যবহারকারীদের যথেষ্ট প্রভাবিত করতে পারবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
এসব ছবির ডিজাইন করেছেন থাই ডিজাইনার ন্যাটাকং জায়েংসেম। তিনি ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের এ ক্যাম্পেইনের জন্যই ছবিগুলো তৈরি করেছেন। চিনির নানা ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার জন্য এ প্রচারণার আয়োজন করেছে ডায়াবেটিক সমিতি। আমেরিকান ডায়অবেটিক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা যে পরিমাণ চিনি গ্রহণ করে থাকি তা টাইপ-টু ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের কারণ হয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য যথাসম্ভব কম চিনি গ্রহণ করা উচিত।