খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যারা কর্মকর্তা আছেন তাদেরকে জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষকে অবহেলা করা চলবে না। আপনারা লেখাপড়ার দিকে একটু বেশি নজর দেবেন। পড়ালেখার বয়স নেই। নতুন প্রজন্ম অনেক মেধাবী। এখন অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনারা প্রযুক্তির সুযোগ গ্রহণ করবেন। সেটা কাজিয়ে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় কিভাবে সেই দিকে দৃষ্টি দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিভিল-মিলিটারি কোনো জায়গায় বাঙালিরা উচ্চ পদে যেতে পারতো না। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পরে কিছুটা হয়েছিলো। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই এখন সব উচ্চ পদে বাঙালিরা জায়গা পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু একটু একটু করে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। সুদূর প্রসারী চিন্তা থেকে তিনি সব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক তিনি তা শেষ করে যেতে পরেননি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা আবার সিভিল সার্ভিসের উন্নয়নে কাজ শুরু করি। কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফর্ম কমিশন (পিএআরসি) গঠন করি। কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করি।
পরবর্তী বিএনপি-জায়ামাত জোট সরকার দেশের সিভিল সার্ভিসের উন্নয়নে আমাদের নেওয়া পদক্ষেপগুলো আর বাস্তবায়ন করেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত ৭ বছরে অসংখ্য নতুন পদ সৃষ্টি করেছি। প্রতিটি ক্যাডারে ব্যাপকভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত আমরা ১১৩ জন সচিব, ৬০৯ জন অতিরিক্ত সচিব, ১৪১১ জন যুগ্ম সচিব এবং ১৪৩৪ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছি। দেশের ইতিহাসে এত বেশি পদোন্নতি ইতোপূর্বে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন আমাদের ভাবনা ছিলো নিজেদের টাকায় চলবো। আর ৭৫’র পরে যারা ক্ষমতা দখল করে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশে যত বেশি অভাব থাকে, দারিদ্র্যতা থাকে। কারণ তাহলেই বিদেশে হাত পাতা যাবে। তাদের কাছে ক্ষমতায় থাকাটাই বড় কথা, দেশের মানুষ নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আ.লীগ ক্ষমতায় এসে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে গণমুখী করে গড়ে তোলে। আমরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করি। আ.লীগ নিজস্ব নীতিমালা গ্রহণ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন মূলক কাজ করে থাকে।
২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব। আমরা ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমাবো। আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি, তখন বেশ কিছু জটিলতা দেখেছি। প্রশাসনের বিভিন্ন জটিলতা দূর করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসেবা মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের সব কর্মক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি প্রণয়ন করেছি।