Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

33খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০১৬: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত ফিলিপাইনের কেসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম অং দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) কাছে ৪৬ লাখ ডলার (২১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো) ফেরত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল ব্যাংকে এএমএলসির কর্মকর্তাদের কাছে তিনি ওই অর্থ ফেরত দেন।
দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক ম্যানিলা বুলেটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এএমএলসি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যবসায়ী অংয়ের জমা দেওয়া অর্থের পরিমাণ নিশ্চিত করতে তা গণনা করেছেন।
এর আগে বুধবার ফিলিপাইন সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেম্পর রালফ রেকটো বলেন, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফিলিপাইনে পাচার হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে মাত্র ৪০ ভাগ অর্থ (৩৪ মিলিয়ন) সরকার উদ্ধার করতে পারবে। এই অর্থ উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। এরপরেই প্রথম কিস্তিতে এই সামান্য অর্থ (৪৬ লাখ ডলার) এএমএলসির কাছে জমা দিলেন ফিলিপিনো বংশোদ্ভূত ওই চীনা ব্যবসায়ী।
চলতি সপ্তাহে সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির কাছে শুনানিতে অংশ নিয়ে কিম অং বলেন, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে লুট হওয়া অর্থের ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কেসিনোতে চলে গেছে। এই ব্যবসায়ী আরো বলেন, ৪৬ লাখ ডলার অর্থ ছাড়া আরো ১০ মিলিয়ন ডলার তার প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাওয়াইন লেইসার কর্পোরেশনে আছে।
বাংলাদেশের এই রিজার্ভ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেট কমিটিতে এখন পর্যন্ত তিনবার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিজার্ভের লুট হওয়া এই অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে।