খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০১৬: তৃতীয় ধাপেও ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে পরবর্তী তিন ধাপে ভোটে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান। একই সঙ্গে ভোট সুষ্ঠু করা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীনের অসহায়ত্বের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের ভোট শেষে সিইসির সঙ্গে নানা অভিযোগ নিয়ে আধা ঘন্টার সাক্ষাত শেষে কাজী রকিবের অসহায়ত্বের কথা সাংবাদিকের কাছে তুলে ধরেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান।
সিইসির অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে শাহজাহান বলেন, নির্বাচন কমিশন খারাপ নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইছে। সিইসির ক্ষমতা কী, তার যে কোনো ক্ষমতা রয়েছে। তার যথাযথ প্রয়োগ তিনি করতে পারছেন না। সিইসির মুখে না বললেও তার পুরো অবয়বে অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে।
তিনি জানান, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী, এজেন্ট, দলীয় নেতাকর্মী, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন একাট্টা হয়ে ভোট দখলের উৎসবে রয়েছে।এটা যেনো কোনো নির্বাচন নয়, সন্ত্রাসীদের উৎসব। ভোটারবিহীন কেন্দ্র দখলের মহড়া। যা নিয়ে ইসি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দু’য়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা বলে সুষ্ঠু ভোট বলে ইসি সাফাই গাইছে। ইউপি ভোটের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে উল্লেখ করেন শাহজাহান।
তিনি বলেন, যে খেলা শেষ হওয়ার আগেই শেষ করে ফেলা হয়, ফল আগেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের রক্ত ঝরছে, লোকজন ঘরে থাকতে পারছে না। এমন নির্বাচন করে লাভ নেই। যার কোনো গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
তিন ধাপের ভোটের পর বাকি তিন ধাপ বর্জনের ইঙ্গিত দিয়ে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দুই ধাপের পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছি আমরা। কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখব। তৃতীয় ধাপেও যদি এরকম সন্ত্রাসী, দখলের ভোট হয়, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে ইসি ব্যর্থ হয়। পরবর্তী তিন ধাপে ভোটে থাকবো কি থাকবো না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের।
এর আগে বিএনপি প্রথম ধাপে অন্তত ৫০ ইউপির ভোট বাতিলের দাবিও জানিয়েছিল।
দ্বিতীয় দফায়ও বিএনপির দাবির বিষয়ে শাহজাহান বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পুননির্বাচন চাই আমরা। সিইসি জানিয়েছেন-পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। দেখা যাক কি হয়।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অবসর প্রাপ্ত) সুজাউদ্দিন, বিএনপিরসহ প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স।