Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০১৬: প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, এরপর হার্দিক পান্ডিয়া। অশ্বিনের পা-টা তবু লাইনের এক ইঞ্চিরও কম সামনে পড়েছে। পান্ডিয়ার পা পড়ল এক ইঞ্চিরও বেশি। এই দুইলে মিলে ধরে নিতে পারেন দুই ইঞ্চি। আর এই দুই ইঞ্চি দূরত্বটাই ভারতকে ছিটকে দিল ফাইনাল থেকে। মহেন্দ্র সিং ধোনি মনে করেন, ওই দুটি নো বলের কারণেই হেরেছে ভারত।
দুবারই সৌভাগ্যবান ব্যাটসম্যানটির নাম লেন্ডল সিমন্স। প্রথমে আউট হতে পারতেন ১৮ রানে। এরপর ৫০ রানে দ্বিতীয় নো বলের সুবাদে আবারও বেঁচে যাওয়া। সেই সিমন্স আর আউটই হলেন না। এরপর ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন একবার। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে অপরাজিত ৮২ অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে জিতিয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে যে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটের ৯৭ ও ৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, সেই দুটি জুটির আকার অন্য রকমই হতে পারত। যদি নো বল দুটি না করতেন অশ্বিন আর পান্ডিয়া।
ম্যাচ শেষে ধোনি বেশ কয়েকটি কারণকে দুষলেন। তবে সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হয়ে থাকল ওই দুটি নো বলই, ‘টস হারাটা ঠিক হয়নি। সাতটায় ম্যাচ শুরু হয়েছে মানে অন্য দিনের চেয়ে আধঘণ্টা আগে খেলা শুরু। আমরা তাই বোলিং শুরু করার সময় অতটা খারাপ ছিল না। কিন্তু এরপর শিশির আমাদের স্পিনারদের কাজ কঠিন করে দিল। ভেজা বলে আমাদের স্পিনারদের ভোগার ইতিহাসটা তো আর নতুন নয়। তবে আমি একটা বিষয়েই হতাশ, ওই দুটি নো বল।’
ধোনির কথায় হয়তো যুক্তি আছে। প্রথমবার অশ্বিনের বলে কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে জসপ্রীত বুমরার দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন ​সিমন্স। সে সময় আউট হয়ে গেলে ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেটি তাদের জন্য হয়ে যেত বিরাট এক মানসিক চাপ। জুটিটাও ভেঙে যেত ৩০ রানে। অথচ সেই জুটি পরে আরও ৬৭ রান তুলল। তাও ঝড়ের বেগে।
পরেরবার অশ্বিনই ক্যাচ নিলেন কাভারে। এবার পান্ডিয়ার বিশাল নো বল। দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া সিমন্স এরপর ১৫ বলে তুলেছেন ৩২ রান। ধোনি হতাশায় দেয়ালে যে কপাল ঠোকেননি, সেই তো অনেক! ধোনি স্টিভ ওয়াহ হলে তাঁর দুই বোলারকে ডেকে বলতে পারতেন, ‘বিশ্বকাপটাই তো লাইনের বাইরে ফেললে বাছা!’