খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০১৬: তনু ধর্ষণ ও হত্যা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার কারণ নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠকদের লেখা নানা মন্তব্য তুলে ধরা হলো।
তনু হত্যার মতো এ রকম একটি বর্ববোরচিত হত্যার পরও প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকায় ডয়চে ভেলের পাঠক নেহাল লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এখন নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই কৌশলী। স্পর্শকাতর ইস্যুতে কথা না বলাই হয়ত তিনি তাঁর জন্য মঙ্গলজনক মনে করেন। তাই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ!’’
‘তনু হত্যা সম্পর্কে কয়েকদিন আগে দেখলাম, যেখানে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, ঐখানে সেনাবাহিনীর সীমানা প্রাচীর নাই বা ভাঙা। এ-ও বিশ্বাস করতে হচ্ছে। তনু তো গেছে, এখন ঐ ভাঙা দেওয়াল দিয়ে শত্রু পক্ষের কেউ এসে না আবার সেনাবাহিনীকে কিছু করে যায়।’ এই মন্তব্য করেছেন সৈয়দ মো. বাহালুল।
যে কোনো ভালো কাজে সকলে একসাথে হলে সফল হওয়া অবশ্যই সম্ভব। এ কথাটার একটি প্রমাণ দিয়ে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে সকলকে আন্দোলনের একত্র হওয়ার ডাক দিয়েছেন আরিফুল ইসলাম।
‘সকল ছাত্র-ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি. . . . সবার কি মনে আছে যে, শিক্ষা খাতে ভ্যাট না দেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম? আমরা সেই আন্দোলনে সফলও হইছি। তা এখন কি আমরা পারি না আমাদের বোন তনুর জন্য আরেকটি আন্দোলন শুরু করতে? আমরা যদি আন্দোলন শুরু করি, তাহলে অবশ্যই আপনার-আমার বোন তনুর সঠিক বিচার পাবো, খোদার কসম ভাই আমরা পারব। আমাদেরকে পারতেই হবে। দরকার হলে দেশ অচল থাকবে। আমার বোন যদি ধর্ষিত হয়, তাইলে দেশ দিয়ে আমি করবটা কী? এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না। প্রয়োজনে তনুর সব ভাই সারা দেশ অচল রাখবে. . .।’
বাংলাদেশে একটা অপরাধ ঢাকতেই কি আরেকটা অপরাধের জন্ম? হ্যাঁ, ঠিক এ রকমটাই বোঝাতে চেয়েছেন নিয়মিত পাঠক বাহার উদ্দিন তাঁর লেখা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যন্য মন্ত্রিদের দিয়ে যদি এ পর্যন্ত কোনো একটা অন্যায়ের সঠিক বিচার হতো, তাহলে কেউ একের পর এক অন্যায় করার সাহস পেত না। আমাদের সরকার এখন আছে একটা বিব্রত অবস্থায়। দেশে একটা ঘটনা ঘটার পর, একমাসও পার হয় না আরেকটা ঘটনা ঘটে। কারণ একটাকে ঢাকতে ঘটে আরেকটা ঘটনা। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।’
বাহার উদ্দিনের মন্তব্যের জের ধরেই আবদুর রহিম বলছেন, ‘‘হয়ত সরকারও জড়িত। তা না হলে শেখ হাসিনা চুপ কেন? তনু হত্যা ঢাকার জন্য বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তারির কথা শোনা যাচ্ছে। একটার পর একটা কী করবে, তা তাদের রুটিন করা আছে।’
‘তনু হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ করে আছেন আর চুপ থাকা মানে সম্মতির লক্ষণ।’ এ কথা জানিয়েছেন মাসুম চৌধুরী।
অন্যদিকে পাঠক মেহেদি হাসান শামীম কিন্তু তনু হত্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের আক্রমণ করছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথা পরে হবে। আগে বলেন আমাদের তথাকথিত গণতান্ত্রিক পত্রিকাগুলো নীরব ছিল কেন?’
‘অপরাধ করা আর অপরাধ সহ্য করা একই কথা। তাই তনুকে যারা হত্যা করেছে তারা তো অপরাধীই। তবে যারা চুপচাপ আছে, অর্থাৎ সরকার, তারাও সমান অপরাধী।’ এই মত পাঠক নিলয়ের।
পাঠক কাজি মানিক তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হয়ত বা জানেন, কারা এর সাথে জড়িত। তবে আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী ক’দিন পর বলবেন, ‘‘এটা জামাত-বিএনপির কাজ।’
ডয়চে ভেলে নেয়া