খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০১৬: প্রশ্নটা গত বেশ কিছুদিন ধরে শুনে আসছেন। একই প্রশ্ন শোনা এবং এর উত্তর দেওয়া বিরক্তিকর। কিন্তু নামটা মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেই প্রত্যেকবারই এর উত্তরে ধোনি চমকপ্রদ কিছু করছেন। কিন্তু কাল যা করলেন, সেটা চমককেও হার মানাল। কোনো দিন শুনেছেন, ক্রিকেটের কোনো সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককেই তুলে নিয়ে আসা হয় মঞ্চে, উল্টো তাঁকেই করা হয় প্রশ্ন! গতকাল ধোনি ক্ষণিকের সাংবাদিক হয়ে গেলেন ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে।
অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক স্যামুয়েল ফেরিস সেই পুরোনো প্রশ্নটাই করেছিলেন, ‘আপনি কি অবসরৃ।’ এর পর ধোনি যা করলেন, সেটা কারও সুদূরতম কল্পনায়ও বোধ হয় ছিল না! কে ভেবেছিল, প্রশ্নকর্তা ফেরিসকে দিয়েই ধোনি সেটির উত্তর দেওয়াবেন!
ফেরিস ওই প্রশ্ন করার পরেই ধোনি এক গাল হেসে বললেন, ‘আরে, চলে আসুন এখানে, কিছু মজা করি।’ ফেরিসও কিছুটা অপ্রস্তুত। আসবেন কি না বুঝতে পারছেন না। ধোনি আশ্বস্ত করলেন, ‘আরে আসুন আসুন, আমি সিরিয়াস, আসুন না।’ লাজুক চেহারা নিয়ে বেচারা সাংবাদিক গিয়ে বসলেন অধিনায়কের পাশে রাখা চেয়ারে।
তাঁর ঘাড়ে এক হাত রেখে ভারত অধিনায়ক হাসতে হাসতে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি চান, আমি অবসরে যাই?’ ফেরিসের জবাবটা স্বাভাবিকভাবেই ছিল ‘না, মানে আমি শুধু জানতে চাইছিলাম।’। এরপর ধোনি দুষ্টুমি করে বললেন, ‘আমি তো ভারতীয় কোনো সাংবাদিকের কাছ থেকে এটা আশা করেছিলাম। আর তাহলে জিজ্ঞেস করতে পারতাম তার কোনো বন্ধু বা ভাই আছে কি না যে উইকেটকিপার আর ভারতের হয়ে খেলতে চায়।’
ধোনির আসল মজাটা শুরু এর পরেই। ফেরিসের কাছে জানতে চান, ‘আপনার কি মনে হয়, আমি আনফিট, আমার দৌড় দেখে তা-ই মনে হয়?’ ফেরিস সজোরে মাথা নেড়ে বললেন ‘না’। ধোনি এবার জানতে চাইলেন, ‘আপনার কি মনে হয়, আমি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যেত পারব এই ফিটনেস নিয়ে?’ ফেরিস কিছুটা ভেবে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই!’ ধোনি বললেন, ‘এইবার আপনি নিজেই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলেন। যান বসুন।’
বেচারা সাংবাদিকের ঘোর তখনো কাটেনি। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ফিরছেন, ধোনি ডেকে বললেন, ‘আপনি কিছু ফেলে যাচ্ছেন।’ তুলে দিলেন মাইক্রোফোন।
ধোনি তখন কপট গম্ভীর সুরে বললেন, ‘আমি কোনো ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রশ্নটা আশা করেছিলাম। তাহলে তাকে বলতে পারতাম, কেন ভাই, তোমার ছেলে কি উইকেটকিপার, ভারতের হয়ে খেলতে চায়? উনি বলতেন, না। তখন বলতাম, তোমার ভাই কোনো ভাই আছে এমন, যে খেলতে প্রস্তুত?’
ফেরিসকে উদ্দেশ করে ভারতীয় অধিনায়ক এরপর বললেন, ‘আপনি ভুল সময়ে ভুল গুলি ছুড়েছেন!সংবাদ সস্মেলনে নাটকের জন্ম দিলেন ধোনি
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০১৬
টহঃরঃষবফ-১প্রশ্নটা গত বেশ কিছুদিন ধরে শুনে আসছেন। একই প্রশ্ন শোনা এবং এর উত্তর দেওয়া বিরক্তিকর। কিন্তু নামটা মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেই প্রত্যেকবারই এর উত্তরে ধোনি চমকপ্রদ কিছু করছেন। কিন্তু কাল যা করলেন, সেটা চমককেও হার মানাল। কোনো দিন শুনেছেন, ক্রিকেটের কোনো সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককেই তুলে নিয়ে আসা হয় মঞ্চে, উল্টো তাঁকেই করা হয় প্রশ্ন! গতকাল ধোনি ক্ষণিকের সাংবাদিক হয়ে গেলেন ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে।
অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক স্যামুয়েল ফেরিস সেই পুরোনো প্রশ্নটাই করেছিলেন, ‘আপনি কি অবসরৃ।’ এর পর ধোনি যা করলেন, সেটা কারও সুদূরতম কল্পনায়ও বোধ হয় ছিল না! কে ভেবেছিল, প্রশ্নকর্তা ফেরিসকে দিয়েই ধোনি সেটির উত্তর দেওয়াবেন!
ফেরিস ওই প্রশ্ন করার পরেই ধোনি এক গাল হেসে বললেন, ‘আরে, চলে আসুন এখানে, কিছু মজা করি।’ ফেরিসও কিছুটা অপ্রস্তুত। আসবেন কি না বুঝতে পারছেন না। ধোনি আশ্বস্ত করলেন, ‘আরে আসুন আসুন, আমি সিরিয়াস, আসুন না।’ লাজুক চেহারা নিয়ে বেচারা সাংবাদিক গিয়ে বসলেন অধিনায়কের পাশে রাখা চেয়ারে।
তাঁর ঘাড়ে এক হাত রেখে ভারত অধিনায়ক হাসতে হাসতে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি চান, আমি অবসরে যাই?’ ফেরিসের জবাবটা স্বাভাবিকভাবেই ছিল ‘না, মানে আমি শুধু জানতে চাইছিলাম।’। এরপর ধোনি দুষ্টুমি করে বললেন, ‘আমি তো ভারতীয় কোনো সাংবাদিকের কাছ থেকে এটা আশা করেছিলাম। আর তাহলে জিজ্ঞেস করতে পারতাম তার কোনো বন্ধু বা ভাই আছে কি না যে উইকেটকিপার আর ভারতের হয়ে খেলতে চায়।’
ধোনির আসল মজাটা শুরু এর পরেই। ফেরিসের কাছে জানতে চান, ‘আপনার কি মনে হয়, আমি আনফিট, আমার দৌড় দেখে তা-ই মনে হয়?’ ফেরিস সজোরে মাথা নেড়ে বললেন ‘না’। ধোনি এবার জানতে চাইলেন, ‘আপনার কি মনে হয়, আমি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যেত পারব এই ফিটনেস নিয়ে?’ ফেরিস কিছুটা ভেবে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই!’ ধোনি বললেন, ‘এইবার আপনি নিজেই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলেন। যান বসুন।’
বেচারা সাংবাদিকের ঘোর তখনো কাটেনি। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ফিরছেন, ধোনি ডেকে বললেন, ‘আপনি কিছু ফেলে যাচ্ছেন।’ তুলে দিলেন মাইক্রোফোন।
ধোনি তখন কপট গম্ভীর সুরে বললেন, ‘আমি কোনো ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রশ্নটা আশা করেছিলাম। তাহলে তাকে বলতে পারতাম, কেন ভাই, তোমার ছেলে কি উইকেটকিপার, ভারতের হয়ে খেলতে চায়? উনি বলতেন, না। তখন বলতাম, তোমার ভাই কোনো ভাই আছে এমন, যে খেলতে প্রস্তুত?’
ফেরিসকে উদ্দেশ করে ভারতীয় অধিনায়ক এরপর বললেন, ‘আপনি ভুল সময়ে ভুল গুলি ছুড়েছেন!