খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০১৬: গৃহযুদ্ধের সময় খাদ্যের অভাবে বাধ্য হয়েই পোকামাকড় খেয়ে জীবন বাঁচিয়েছিল কম্বোডিয়ার অনেক মানুষ। সেই থেকে শুরু। দেশটিতে এখনো খাদ্য হিসেবে পোকা মাকড়ের চাহিদা ব্যাপক। সম্প্রতি একটি ফরাসি কোম্পানি সেখানে চালু করেছে পোকা দিয়ে তৈরি খাবারের রেস্তোঁরা।
১৯৮০ সালে খোমাররুজদের সাথে যুদ্ধে আহত হয় ওয়েই নামের এই ব্যক্তি। দুর্বল শরীরে কোন কাজ না পেয়ে শেষে নিজের পরিবারে প্রোটিনের সংস্থানের জন্য শুরু করে পোকা মাকড় সংগ্রহ। সকালে উঠেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পোকা মাকড়ের খোঁজে।
এতদিন পোকা-মাকড় বিক্রি করে খুব সামান্যই উপার্জন করতেন ওয়েই। সম্প্রতি পোকা-মাকড়ের নানা রেসিপি নিয়ে রেস্টুরেন্ট তৈরি করে বদলে ফেলেছেন ভাগ্যের চাকা।
সারাদিন পোকা সংগ্রহ করে মাত্র ৫০ থেকে ৭৫ সেন্টে বিক্রি করতাম সেগুলো। কিন্তু এখন নতুন রেস্টুরেন্টের সাথে আমার একটি চুক্তি হয়েছে। তারা আমাকে এ জন্য বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ দেবে বলে জানিয়েছে।
কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডের মত দেশগুলোতে পোকা খাওয়ার রীতি চালু থাকলেও তা রান্নায় খুব একটা ভিন্নতা না থাকায় এতদিন জনপ্রিয় হয়নি বিষাক্ত মাকড়সা, বিছা, ঝিঁঝিঁ পোকা, রেশমপোকার মত খাবারগুলো। তাই সিয়েম রিপ এলাকার এই বাগ ক্যাফে ফরাসী আর কম্বোডিয় রান্নার ফিউশন তৈরি করছে।
বিছা পেঁপের সালাদ, পিঁপড়ার পুর ভরা স্প্রিং রোল, মাকড়শার ডোনাট, ঝিঁঝিঁ আর রেশম পোকা দিয়ে সাজানো কাপকেক ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে পর্যটকদের কাছে।
এসব পোকামাকড়ে উ”চ মাত্রার প্রোটিন থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্যও এগুলো ভালো। আর মানুষ যত বেশি পোকামাকড় খেতে থাকবে, মাছ মাংসের ওপর চাপও তত কমে আসবে। তাই আমরা এগুলোকে আকর্ষণীয় করার জন্য রান্নায় বৈচিত্র এনেছি।
অল্প কয়েকদিনে রেস্তোঁরাটি এতই ব্যবসা সফল হয়েছে যে, শিগগিরই তারা সিয়েম রীপ ও নমপেনেও ফ্র্যাঞ্চাইজ খুলতে যাচ্ছে।