খোলা বাজার২৪, রোববার, ৩ এপ্রিল ২০১৬: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। দেশের দুই হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে রোববার সকাল ১০টায় একযোগে শুরু হবে এই পরীক্ষা।
এসএসসির মতো এইচএসসিতেও এবার থেকে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। দুই পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট বিরতি রাখা হয়েছে।
পরীক্ষায় ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা। গতবার এতে অংশ নেয় ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন।
এবার প্রথম দিন এইচএসসির বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র এবং বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস) পরীক্ষা হবে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে কুরআন মাজিদ এবং এইচএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ [সৃজনশীল (নতুন/পুরাতস সিলেবাস)] (১১২১) ও বাংলা-১ [সৃজনশীল (নতুন/পুরাতন সিলেবাস)] (১১১১), কারিগরি বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন কমার্সে বাংলা-২ ও বাংলা-১ (সৃজনশীল) এবং ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় বাংলা-২ (নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-১ (সৃজনশীল, নতুন সিলেবাস) পরীক্ষা হবে।
৯ জুন এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১১ থেকে ২০ জুনের মধ্যে হবে ব্যবহারিক।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার সকালে সিদ্ধেশ্বরী গালর্স কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
সকাল ১০টায় শুরু হবে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা; ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হবে সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা।
তবে ‘ট্র্যাডিশনাল’ বিষয়ের ক্ষেত্রে রচনামূলক পরীক্ষা ১০টায় শুরু হবে। বিকালের পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ ১ লাখ ২ হাজার ১৩২ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৭৯৬ জন পরীক্ষার্থী আছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন ছাত্রী।
এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ২৬২ শিক্ষার্থীর, তাদের ১২৪ জন ছাত্র ও ১৩৮ জন ছাত্রী।
এবার ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হবে।
এইচএসসিতে ২০১২ সালে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়। গত বছর ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হয়।
এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্র“তিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এসব পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।
আর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার আশা প্রকাশ করে নাহিদ বলছেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“যারা এসবের সঙ্গে (প্রশ্ন ফাঁস) যুক্ত থাকেন তার পুলিশি ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে আছেন।”