Tue. May 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০১৬: রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ টিকিয়ে রেখেছিলেন মার্লন স্যামুয়েলস। কিন্তু শেষ ওভারে টানা চার ছক্কা হাঁকিয়ে দলটির ৪ উইকেটের জয়ের নায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট।
রোববার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে দুই বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নতুন বলে স্যামুয়ের বদ্রি নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটিং। তবে জো রুটের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরে ইংল্যান্ড। ব্র্যাথওয়েট-ব্রাভোদের উইকেট শিকার আবার থমকে দেয় ইনিংস। তবে শেষ দিকে লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটে ইংল্যান্ড পেল লড়ার মত রান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
বিশ্বকাপে আগের ৫ ম্যাচের মতো ফাইনালেও টসে জিতে ড্যারেন স্যামি বেছে নেন পছন্দের রান তাড়া। টানা ১০ টি-টোয়েন্টিতে তিনি জিতলেন টস!
টুর্নামেন্টে আগের সব ম্যচের মতো এদিনও নতুন বল হাতে বদ্রি শুরুতেই ইংল্যান্ডকে দেন বড় ধাক্কা। ইংলিশদের সেমি-ফাইনালের নায়ক জেসন রয় ফাইনালে দেখছেন মুদ্রার উল্টো পিঠ। ম্যাচের প্রথম বলেই বেঁচে গিয়েছিলেন জোড়ালো এলবিডব্লিউ আবেদন থেকে। তবে পরের বলেই বদ্রির দারুণ এক স্লাইডারে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড।
পরের ওভারে আবারও দৃশ্যপটে বদ্রি। আন্দ্রে রাসেলের লেগ স্টাম্পে থাকা বাজে বলে টাইমিং দারুণ করেছিলেন অ্যালেক্স হেলস। কিন্তু শট ফাইন লেগে বদ্রিকে ফাঁকি দিতে পারেননি। জায়গায় দাঁড়িয়েই রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন বদ্রি।
তৃতীয় উইকেটেও যথারীতি ছিলেন বদ্রি। এবার দারুণ এক গুগলিতে বিভ্রান্ত ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান। ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন নড়বড়ে ইংল্যান্ড।
ইনিংসটা কিছুটা থিতু করে পাল্টা আক্রমণ চালান রুট আর জস বাটলার। টার্গেট করেন তারা সুলিমান বেনকে। দীর্ঘদেহী বাঁহাতি স্পিনারকে টানা দু বলে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন বাটলার।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ৫১ রানের এই জুটি ভাঙেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। চতুর্থ ছক্কার চেষ্টায় আউট হন বাটলার (২২ বলে ৩৬)।
আরেক পাশে দারুণ খেলে ৩৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেন ইংল্যান্ডের রান মেশিন রুট। স্টোকস এসেও সঙ্গ দিচ্ছিলেন ভালোই। তবে হঠাৎই আবার এলোমেলো ইংল্যান্ড। এক ওভারেই ডোয়াইন ব্রাভো ফেরান স্টোকস ও মইন আলিকে। ব্র্যাথওয়েটকে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন রুট (৩৬ বলে ৫৪)। ৪ বলের মধ্যে ১ রানে ইংল্যান্ড হারায় ৩ উইকেট!
ব্রাভোকেই পরে এক ওভারে দুটি ছক্কা মারেন ডেভিড উইলি। তার ১৩ বলে ২১ রান প্রাণ ফেরায় ইংলিশ ইনিংসে। ব্রাভোর বলেই আবার দারুণ এক ক্যাচে বদ্রি ফেরান লিয়াম প্লাঙ্কেটকে। হাতে ব্যথা নিয়ে মাঠও ছাড়তে হয় তাকে। শেষ ওভারে ক্রিস জর্ডান দলের রানকে নিয়ে যান দেড়শর ওপারে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং গভীরতা আর রান তাড়ার দক্ষতায় এই রানকে যথেষ্ট মনে নাও হতে পারে। তবে বড় ম্যাচের চাপে ঘটে যায় অনেক কিছুই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৫/৯ (রায় ০, হেলস ১, রুট ৫৪, মর্গ্যান ৫, বাটলার ৩৬, স্টোকস ১৩, মইন ০, জর্ডান ১২*, উইলি ২১, প্লাঙ্কেট ৪, রশিদ ৪*; বদ্রি ২/১৬, রাসেল ১/২১, বেন ০/৪০, ব্র্রাভো ৩/৩৭, ব্র্যাথওয়েট ৩/২৪, স্যামি ১/১৪)।