খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০১৬: একবারে নয়, তিন ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে চায় সরকার। এই তিন ধাপে সময় নেওয়া হতে পারে ছয় মাস পর্যন্ত। আর তিন ধাপ মিলে জ্বালানি তেলের (অকটেন, পেট্রল ও ডিজেল) দাম কমতে পারে লিটারপ্রতি মোট ২০ টাকার মতো।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এই খবর জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এভাবেই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপে দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হতে পারে দুই সপ্তাহের মধ্যে। এরপর সড়ক ও নৌ–পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরের ধাপগুলোতে দাম কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ২০১৪ সালের জুন থেকে। কিন্তু দেশে এখন পর্যন্ত দাম না কমানোয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিপুল অর্থ মুনাফা করেছে। এই অর্থ দিয়ে সব দায়-দেনা পরিশোধ করেও বিপিসির হাতে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।
এই প্রেক্ষাপটে সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ‘যৌক্তিক’ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে ফার্নেস তেলের দাম কমিয়ে প্রতি লিটার ৬০ টাকার স্থলে ৪২ টাকা করা হয়। এরপর এখন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অন্যান্য জ্বালানি তেলের দাম কমানোর।
দেশে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ১২০ মার্কিন ডলার। দেশে তখন দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯, পেট্রল ৯৬, ডিজেল ও কেরোসিন ৬৮ এবং ফার্নেস তেল ৬০ টাকা করা হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান দাম (অপরিশোধিত প্রতি ব্যারেল বা ১৫৯ লিটার) অনুযায়ী প্রতি লিটার ফার্নেস তেলের দাম এখন ৩০ টাকারও কম। আর দেশে প্রতি লিটার অকটেনের দাম পড়ছে ৫৫ টাকা। প্রতি লিটার পেট্রল ৫০ এবং প্রতি লিটার ডিজেলের দাম পড়ছে ৩৮ টাকার মতো।