Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

31খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০১৬: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ক্যাসিনো ও জাঙ্কেট অপারেটরদের বিরুদ্ধে আগামি সপ্তাহে একটি বেসামরিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ মামলা দায়ের করবে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি)। মঙ্গলবার রিজার্ভ চুরির তদন্তে চতুর্থ দিনের শুনানিতে এ মামলা করার আশা প্রকাশ করেছেন এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাকে-আবেদ।
শুনানিতে জুলিয়া বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মামলার প্র¯‘তি নিচ্ছি। আশা করছি আগামি সপ্তাহে এ মামলা দায়ের করতে পারব।
সোলায়রি ক্যাসিনো অপারেটর ব্লুমবারি রিসোর্টস করপোরেশনের আইনি প্রধান সিলভেরিও বেনি তান ২৯ মার্চের শুনানিতে জানান, ১.৩৬ বিলিয়ন পেসো সোলায়রির গেমিং টেবিলে খরচ করা হয়েছে। ডিং ঝিজের নির্দেশনায় এক বিদেশি জাঙ্কেট অপারেটরের অ্যাকাউন্টে সব টাকা একত্রে করা হয়।
১০ মার্চে তান বলেন, সোলায়রি ডিং এর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। এতে সর্বমোট ২.৩৪ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে বলে জানান। তান বলেন, কিভাবে এ টাকা আনা হয়েছে তার ব্যাখ্যা জানতে তিনি উপযুক্ত আদালত আদেশের অপেক্ষা করছেন।
এদিকে, সর্বমোট ৫৩২ মিলিয়ন পেসো মাইধাস হোটেল এবং ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা হয়েছে। মাইধাসের আইনজীবী ক্যাটরিনা মঙ্গলবার জানান, ইস্টার্ন হাওয়াই যাচাই বাছাই করার পর মাত্র ৫৩২ মিলিয়ন পেসো আমাদের ক্যাসিনোতে জুয়া খেলায় ব্যয় করা হয়েছে। ১১১ মিলিয়ন পেসো জেতার টাকা হিসেবে উঠানো হয়েছে।
সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত আদেশ লড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে ক্যাটরিনা উত্তরে বলেন, গ্রাহকদের কাছে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। কেননা আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সরাসরি কোন টাকা নেয়নি। যা কিছু নেয়া হয়েছে জাঙ্কেট সাব-এজেন্টদের কাছ থেকে। আর এ টাকা খেলায় ব্যয় করা হয়েছে।
সোমবার ক্যাসিনো জাঙ্কেট এজেন্ট কিম অং আরও ৩৮.২৮ মিলিয়ন পোসো ফেরত দিয়েছেন। ম্যানিলায় কেন্দ্রীয় বাংকে নিরাপদে রাখার জন্য এ অর্থ তিনি এএমএলসির কাছে তুলে দেন। এর আগে ৩১ মার্চ ৪.৬৩ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেন কিম।
কিমের কোম্পানি ইস্টার্ন হাওয়ায় সর্বমোট ১ বিলিয়ন পোসো বা ২১.৫৭৫ মিলিয়ন ডলার চুরির টাকা যায়।
আজ চতুর্থ শুনানির সময় কিম ব্ল রিবন কমিটির কাছে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আরও ৪৫০ মিলিয়ন পেসো ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বলেন, তিনি চুরির বাকি টাকা উদ্ধারের আশা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সিআইডি সদস্যরা ফিলিপাইনে আবস্থান করছে।
৩১ মার্চের শুনানিতে কিম আরও বলেন, রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেমে চুরির ১৭ মিলিয়ন ডলার এখনও গচ্ছিত রয়েছে। তবে ফিলরেম কর্মকর্তারা এ টাকা থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
রিজার্ভ চুরির ৮১মিলিয়ন ডলারের মধ্যে সোলায়রি ও মাইধাস ক্যাসিনোতে যায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার এবং বাকি ১৭ মিলিয়ন ডলার যায় ফিলরেমে। রাপলার।