খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬: চুয়াডাঙ্গায় প্রতিমাসে ১০ জন মেয়ে আত্মহত্যা করে। এর মূলে রয়েছে বাল্য বিয়ে। বাল্য বিয়ের কারণে নারী নির্যাতন বেড়ে যায়। তাই এসো সবাই মিলে বাল্য বিয়েকে না বলি”। বাল্যবিবাহকে লাল কার্ড দেখিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০০ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতি শিক্ষার্থী লাল কার্ড হাতে নিয়ে প্রদর্শন করে। এসময় তারা শপথ করে ১৮ বছর বয়সের আগে কোনোক্রমেই বাল্য বিয়ে নয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ লাল কার্ড প্রদর্শনের আয়োজন করে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুন্নাহার জানান, বেলা ১২টায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বাল্য বিয়ের কুফল সর্ম্পকিত লিফলেট। পরে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম মামুনউজ্জানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম। অনুষ্ঠানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় একটি করে লাল কার্ড। শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে থাকা লাল কার্ড প্রদর্শন করে শপথ নেয়, ১৮ বছর বয়সের আগে তারা বিয়ে করতে রাজি হবে না।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস তার বক্তব্য শেষে সকল ছাত্রী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে “বাল্য বিয়েকে না বলুন” এই লাল কার্ড প্রদর্শনের আহবান জানান। বাল্য বিয়ের শপথ পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা বাল্য বিয়েতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।