খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৬: সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যেই ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা বেশি বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
পুলিশের একার পক্ষে ‘আইন মানার সংস্কৃতি’ চালু করা সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ছয় মাস ট্রাফিক আইন নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সমীক্ষা চালিয়েছি, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভিডিও করেছি। দেখেছি ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে যারা ট্রাফিক ল’ ভায়োলেশন করে, করছে, তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।”
আইন না মানার এ প্রবণতাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেন ঢাকার পুলিশ প্রধান।
“সমাজের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তারা ট্রাফিক আইন মানেন না। সিগন্যাল মানেন না। উল্টো পথে গাড়ি নিয়ে যায়। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
এ ‘সংস্কৃতি’ বদলাতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান আছাদুজ্জামান মিয়া।
“আইন মানার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। এটা আমি পারব না, আপনারা (সাংবাদিক) পারবেন। গণমাধ্যম পারবে। আপনারা বাধ্য করতে পারবেন। জাতিকে জানাতে পারবেন, জনমত তৈরি করতে পারবেন।”
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নতুন কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি অপরাধীদের ‘বাছ বিচার করার সংস্কৃতির’ সমালোচনা করেন।
“মুখ দেখে দল দেখে অপরাধীদের ছাড় দিলে দেশে আর আইনের শাসন হয় না। সু-শাসন হয় না। গণতন্ত্র মানে আইনের শাসন, গণতন্ত্র মানে সু-শাসন।”
মন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন কাজ ও সিদ্ধান্তের গঠনমূলক সমালোচনা করতে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করেন।
তিনি বলেন, “সমালোচনা করলে শেখ হাসিনার সরকার নারাজ হয় না। বরং আমরা মনে করি, এসবের মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে আমরা বিব্রত হই।”
ক্র্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আখতারুজ্জামান লাভলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানও বক্তব্য দেন।
অপরাধ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পাঁচ সাংবাদিককে এ অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়।