Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

20খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০১৬: ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) দেশটির আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরিকৃত অর্থের মধ্য থেকে ফেরত পাওয়া অংশের মালিকানা দাবি করে একটি বাজেয়াপ্তকরণ মামলা দায়ের করেছে।
অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে গঠিত দেশটির সিনেট ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান তিওফিস্তো গুইনগোনা বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে, ওই অর্থ বাংলাদেশের। কিন্তু কিম অংয়ের কাছ থেকে পাওয়া ওই অর্থ স্থানান্তরের জন্য মামলাটি জরুরি। গত বুধবার এএমএলসির প্রধান নির্বাহী জুলিয়া বাকে-আবাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা জানান গুইনগোনা।
জাঙ্কেট অপারেটর (প্রমোদ ভ্রমণ ও জুয়ায় অর্থলগ্নিকারী) কিম অংয়ের কাছ থেকে পাওয়া ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার বাংলাদেশে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গতকাল এ মামলা করেছে এএমএলসি। গতকাল ফিলিপিনো সংবাদ মাধ্যম ম্যানিলা বুলেটিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাব থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির বিষয়ে চতুর্থ শুনানি গ্রহণ করে সিনেট।
নিউইয়র্ক ফেড থেকে অপরাধীরা প্রায় ১০০ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা করে। এর মধ্যে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) চারটি সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে সমর্থ হয় তারা। পরে ক্যাসিনো ও মুদ্রা রূপান্তরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওই অর্থ দেশটির আর্থিক খাত থেকে বেরিয়ে যায়।
ফিলিপাইনের রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্টে (আরটিসি) এ মামলায় আদালত প্রত্যাশিত আদেশ দিলে দেশটির সরকার ওই অর্থের বৈধ মালিকানা পাবে। এর পর তা বাংলাদেশকে ফেরত দেয়া সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, কিম অং দুই কিস্তিতে মোট ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাঙ্কো সেন্ট্রাল এনজি পিলিপিনাসে ‘সুরক্ষিত’ রাখার জন্য জমা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। ফলে ওই অর্থের কোনো বৈধ মালিকানা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এএমএলসি বা সরকারের নেই।
গুইনগোনা বলেন, কমিটি (সিনেট কমিটি) বিষয়টির দ্রুত সমাধানের উদ্দেশ্যে আরটিসির কাছে এ মামলা সম্পর্কিত বিভিন্ন নথি হস্তান্তর করতে পারলে খুশিই হবে। মামলার পর এর সুরাহা হতে এবং বাংলাদেশকে ওই অর্থ ফেরত দিতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশ অবশ্যই তাদের অর্থ ফেরত পাবে।
এর আগে সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা হুয়ান পন্সে এনরিলে বাংলাদেশে ওই অর্থ স্থানান্তরের জন্য আইনি বাধ্যবাধকতার কথা তোলেন। তিনি বলেন যে, সরকারের উচিত আইন অনুসরণ করা। প্রথমে ওই অর্থের বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করা জরুরি। এর পর তা দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশে স্থানান্তর করা দরকার।
ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজও দ্রুততার সঙ্গে চুরিকৃত অর্থের উদ্ধারকৃত অংশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সিনেটের শুনানি চলাকালে অর্থ স্থানান্তরে বিলম্বের কারণে তিনি তার অসন্তোষের বিষয়টি আড়াল করেননি। পরে এএমএলসির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে আলাপচারিতায়ও তিনি এ বিষয়ে তার হতাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
**** কোরআন নিয়ে একি গান বানালেন নকুল কুমার বিশ্বাস! (ভিডিওতে দেখুন)