Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬ : সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের তিন মিলিটারি পুলিশ, তনুর পরিবারের সদস্যসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
মিলিটারি পুলিশের তিন সদস্য, তনুর এক বান্ধবী ও ছোট ভাইয়ের এক বন্ধু—এই পাঁচজনকে বৃহস্পতিবার সিআইডির কুমিল্লা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তাঁদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে সিআইডির তদন্ত দল। এ ছাড়া তনুর চাচাতো বোন লাইজু জাহান ও বড় ভাই নাজমুল হোসেনকে আজ সকালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিআইডির বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার মো. নাজমুল করিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাজমুল করিম খান আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে যাদের সহযোগিতা করার দরকার ছিল, তারা সহযোগিতা করেনি। দেশের মানুষ ও মিডিয়া সহযোগিতা করছে। আমরা যারা তদন্তের সঙ্গে আছি, তারা সবদিক বিবেচনা করে সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছি।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কী এসেছে, সেটা নিয়ে নানাজন নানা ধরনের কথা বলছে। এটা নিয়ে আমরা বসে নেই। আমাদের উদ্দেশ্য খুনের জট খোলা। আমরা প্রতিদিনই নানাজনকে জিজ্ঞেস করছি। সংখ্যা এবং নাম বলছি না। আপনারা ধৈর্য ধরেন। একটা রেজাল্ট আমরা দেব।’
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে তিন মিলিটারি পুলিশসহ পাঁচজনকে তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলে। শুক্রবারও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তনুর চাচাতো বোন লাইজু জাহান বলেন, ‘আমাকে আর নাজমুল ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কুমিল্লা সিআইডি দপ্তরে শুক্রবার সকাল আটটায় নেওয়া হয়। দুপুর ১২টায় আবার বাসায় দিয়ে যায়।’
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান ঘটনাস্থল ও আমার বাসা পরিদর্শন করেন। এ সময় আমিও ঘটনাস্থলে যাই।’
গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরে কালভার্টের পাশের জঙ্গল থেকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁর বাবা কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত এ মামলার কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি।