খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০১৬: সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এক তাৎক্ষণিক প্রশ্নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. এন প্যারানিয়েথারান বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মটরযান আইন চূড়ান্ত করতে মতামত গ্রহণ শীর্ষক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের এক পর্যায়ে, প্রশ্ন তোলেন, এই যে বলা হয়, প্রতি বছর ২১ হাজার মানুষ গোটা বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটা কীভাবে সম্ভব? এ গণনায় প্রতিদিন ৫৭ জন মারা পড়ছে। আরও কমিয়ে ধরলাম, কত ২০জন। কেউ কী বলতে পারবেনÑ প্রতিদিন দুর্ঘটনায় ২০ জন মরছে?
এরপর তিনি তার পাশে থাকা ড. এন প্যারানিয়েথারানের দিকে তাকিয়ে ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে বলেন, ‘তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কেন বলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ হাজার মানুষ মারা যায়। সো মোর রিসার্চ এন্ড জাস্টিফাই এগেইন, প্লিজ..। অ্যা..অনেকে আবার এই ২১ হাজার নিয়ে এডিটরিয়ালও লিখেন।’
এসময় ড. এন প্যারানিয়েথারান এই ২১ হাজার সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে ওবায়দুল কাদের সঙ্গে সঙ্গে তা রক্ষা করেন। একই ডায়াসে ওবায়দুল কাদেরের পাশে অবস্থান নিয়ে ড. এন প্যারানিয়েথারান বলেন, এটা আসলে পুরোপুরি সঠিক নয়, ধারণামাত্র। এই সংখ্যা ব্যাপার না। অনেক সংখ্যক দুর্ঘটনার শিকার আছেন, যারা হাসপাতালে যান না বা ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাদেরকেও তো দুর্ঘটনার শিকার হিসেবে পরিসংখ্যানে স্থান দেয়া হয়।’
সঙ্গে সঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সো হাউ ইস দিস কজ অফ ডেথ?
এরপর ড. এন প্যারানিয়েথারান সংরক্ষিত আসনে বসে পড়েন। এসময় হাসতে হাসতে তার দিকে তাকিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উনারা তো ডোনার পার্টি, আর এমব্রেস করতে চাই না।
‘উনিই বলেছেন, এই সংখ্যা নাকি ব্যাপার না। ব্যাপার না বলে ২১ হাজার!’Ñ চোখ বড় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন মন্ত্রী।
এরপর তিনি ড. এন প্যারানিয়েথারানকে দাদা সম্বোধন করে বাংলাতেই বলেন, বিষয়টি আরেকটু ভেবে দেখবেন দাদা..।
প্রথমদিকে ওবায়দুল কাদেরের কথায় ড. এন প্যারানিয়েথারান কিছুটা হাসিমুখে থাকলেও শেষ দিকে চেহারায় কিছুটা মলিন ছাপ ফুটে উঠে। বন্ধ হয়ে যায়, হাসিও। এ ঘটনাকালে গোটা অডিটরিয়াম জুড়ে হাসির রোল পড়ে দফায় দফায়।