Sun. Mar 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০১৬: যদি আপনার বারবার হাঁচি আসে এবং গলা 36চুলকায় তাহলে আপনি একা নন। আমেরিকান কলেজ অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা এন্ড ইমিউনোলজির মতে, পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে ৩০% ও শিশুদের মধ্যে ৪০% এই রকম সিজনাল অ্যালার্জিতে ভোগে থাকে প্রতিবছর। কিছু খাবার আছে যা খেলে সিজনাল অ্যালার্জির সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হচ্ছে এই খাবারগুলোতে হিস্টামিন নামক উপাদান থাকে। আজ সেই রকম কিছু খাবারের কথাই জেনে নেই চলুন।
১। টমেটো
টমেটোতে প্রচুর হিস্টামিন থাকে। যাদের ঘাসের রেণুর অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের টমেটো খেলে অবস্থা খারাপ হয়। তাই অ্যালার্জির ঋতুতে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।
২। কাঠবাদাম
যাদের ট্রি-পোলেন অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের জন্য কাঠবাদাম খাওয়া ক্ষতিকর। অ্যালার্জির ঋতুতে কাঠবাদাম ও এর দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
৩। কলা
আপনি যখন কফ-কাশি ও হাঁচিতে আক্রান্ত হন তখন নিশ্চয়ই কলা খান না। কলা রেগউইড পোলেন অ্যালার্জির লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫। ক্যামোমিল চা
গরম চা অ্যালার্জি সিজনের কফ-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি রেগউইড অ্যালার্জিতে ভোগে থাকেন তাহলে ক্যামোমিল চা উপসর্গগুলোকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যার জন্য আরো যে খাবারগুলো এড়িয়ে যেতে হয় তা হল – গ্লুটেন সমৃদ্ধ সিরিয়াল, দুধ, ডিম, বাদাম, সয়াবিন, মাছ(ইলিশ), গম, তিল ও সরিষা বীজ, খোলওয়ালা মাছ যেমন- চিংড়ি, পুঁইশাক, মসূর ডাল ইত্যাদি। অনেক দিনের পুরনো খাদ্যে, আচারে ও গাঁজান খাদ্যে হিস্টামিন থাকে। গাঁজন প্রক্রিয়ায় ইষ্ট ও ব্যাকটেরিয়া হিস্টামিন উৎপন্ন করে। অ্যালার্জির সমস্যা হলে হাঁচি, কাশি, চুলকানি ও মাথাব্যথা করে। তাই যদি আপনি সিজনাল অ্যালার্জিতে ভোগেন তাহলে গাঁজন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন খাদ্য খেলে বা পান করলে উপসর্গ গুলো আর বেশি খারাপ হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে এই প্রকার খাদ্য মুখের অ্যালার্জি বৃদ্ধি করতে পারে। পরাগ রেণুর অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ফল ও সবজি খেলে মুখ ও গলায় চুলকানি হতে পারে। সিজনাল অ্যালার্জির উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই খাবারগুলো বাদ দিতে হবে।