Wed. Apr 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

44খোলা বাজার২৪,সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০১৬: পুষ্টিবিজ্ঞানীরা নতুন গবেষণার মাধ্যমে ক্রমাগত নতুন নতুন তত্ত্ব প্রকাশ করেন। এ কারণে কোন খাবারটি পুষ্টিকর আর কোনটি ক্ষতিকর, তা বুঝে ওঠা বেশ কঠিন বিষয়। এখানে বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন ৫টি খাবারের কথা। বিভিন্ন গবেষণায় এদের ক্ষতিকর খাবার বলেই মত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবারো তাদের উপকারী খাবারের তালিকায় যোগ করেছেন তারা।
১. ফ্যাটপূর্ণ খাবার : মার্গারিন বা মাখনের মতো ফ্যাটপূর্ণ খাবারকে ক্ষতিকর বলে বিভিন্ন গবেষণায় মত দেওয়া হয়। এটা বহুকাল পুষ্টিবিজ্ঞানীদের পেরেশান করে চলেছে। ভেজিটেবল ফ্যাট থেকে প্রস্তুতকৃত এই খাবারগুলো উন্নত দেশের জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। অবশেষে বিশেষজ্ঞরা হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে কমমূল্যের মার্গারিন ও বাটারের ফ্যাটকে জরুরি বলে মত দিয়েছেন।
সম্পৃক্ত ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ কমে আসছে মানুষের মধ্যে। এ ছাড়া ট্রান্স ফ্যাট ও হৃদরোগের মধ্যে পরিষ্কার সম্পর্ক খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। করোনারি হার্ট ডিজিস (সিএইচডি) ঝুঁকি বাড়তে থাকে যখন ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ কমে আসে। এ ধরনের ফ্যাট ক্ষতিকর বলে পরিগণিত হলে নির্মাতারা মার্গারিন থেকে ট্রান্স ফ্যাটের অংশটি বাদ দেয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে সিএইচডি-এর সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়েছে যে, ভেজিটেবল ফ্যাট গ্রহণ দারুণ উপকারী। পলিআনস্যাটুরড ফ্যাট যখন খাদ্য তালিকায় যোগ হয়, তখন সিএইচডি’র ঝুঁকি কমে আসতে থাকে বলে প্রমাণ মিলেছে।
২. আলু : সবজির মধ্যে আলুকে অস্বাস্থ্যকর বলে বহু পরীক্ষায় জানানো হয়েছে। কারণ এটি হাই গ্লাইকামিক ইনডেক্স ফুড যা পরিশোধিক কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে মিশে ক্ষতিকর খাবারে পরিণত হয়। কিন্তু এ সবজি কার্বোহাইড্রেটপূর্ণ। আছে ভিটামিন সি, কিছুটা
৩. দুগ্ধজাত পণ্য : মাখন, দই বা পনির থেকে শুরু করে দুধ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের তালিকায় চলে গিয়েছিল। এসব খাবারের উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম মানবদেহের জন্যে উপকারী। কিন্তু এসব পণ্যের উচ্চমাত্রার সম্পৃক্ত ফ্যাট সিএইচডি’র জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর নয় যদি ক্যালোরি ও ফ্যাটের মোট পরিমাণ স্বাস্থ্যকর থাকে। দুগ্ধজাত খাবারের ভালো বা খারাপ দিক রয়েছে। প্রত্যেকের জন্যে ক্ষতিকর পরিমাণ নির্দিষ্ট করা বেশ কঠিন বিষয়।
৪. কাঁচা বাদাম এবং মাখন : উচ্চমাত্রার ফ্যাট ও ক্যালোরির কারণে বাদামকে ক্ষতিকর খাবারের তালিকায় রাখা হয়। বহু গবেষণায় বলা হয়, যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা বাদাম থেকে দূরে থাকবেন। কিন্তু তার চেয়েও বেশি গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, বাদামা এক স্বাস্থ্যকর খাবার। ওজন নিয়ন্ত্রণেও কাঁচা বাদাম বেশ উপকারী। সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে বলা হয়, কাঁচা বাদাম খেলে মৃত্যু ঝুঁকি কমতে থাকে। এ ছাড়া কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস, সিডিসি এবং কার্ডিয়াক ডেথের হাত থেকে বাঁচায় এই বাদাম।
চলমান কিছু গবেষণাতেও বলা হয়, কাঁচা বাদাম ও বাদামের মাখন স্বাস্থ্যের উপকার করে। কাঁচা বাদামে থাকে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ডায়েটারি ফাইবার এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস।
৫. ডিম : এমনকি এক সময় ডিমও অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় স্থান করে নেয়। হৃদযন্ত্রের জন্যে দারুণ ক্ষতিকর বলে মনে করা হয় ডিমকে। বড় আকারের একটি ডিমে ১৮৫ গ্রাম কোলেস্টরেল থাকে। এটি রক্তের কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিগত ২০ বছর ধরে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন স্বাভাবিক মাত্রায় ডিমের মতো ডায়েটারি কোলেস্টরেল গ্রহণ করলে তা রক্তের কোলেস্টরেলে খুব কম প্রভাববিস্তার করে।
তাই বহু পুষ্টিবিজ্ঞানী ডিমকে উপকারী খাবার বলেই মনে করেন। এটি প্রোটিন, উপকারী ফ্যাট এবং কয়েক ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস।