খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬: রাষ্ট্রায়ত্ত ২৭টি পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া, মজুরি ও বেতন এবং অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি পরিশোধের জন্য ৬৪০ কোটি টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া দুই দফায় কাঁচা পাট কেনার জন্য ৩৬০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার এ বরাদ্দ দিতে অর্থসচিব মাহবুব আহমেদকে চিঠি পাঠিয়েছেন। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার পর এই প্রস্তাব পাঠানো হলো। এর আগে টাকা চেয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০০৮-০৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জুটমিল করপোরেশন (বিজেএমসি) অধীন প্রায় ৫ হাজার ৮০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসর নিয়েছেন। তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ ৩৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও গ্র্যাচুইটি বাবদ ২৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে অনেক কর্মী মারাও গেছেন। টাকার অভাবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিন্তু বিজেএমসি এবং পাটকলগুলোতে প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় অবসরকালীন সুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থা উত্তরণে সরকারি অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পয়লা বৈশাখের আগে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির একটা অংশ দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় পাওয়া গেলে বাকি টাকা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনের মুখে অচল হয়ে পড়েছে খুলনা ও যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো। বকেয়া মজুরি ও ভাতা পরিশোধ এবং পাট খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়সহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন খুলনা ও যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকেরা।