খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগতদের মিষ্টান্ন (বাতাসা, সন্দেশ, খৈ ইত্যাদি) খাওয়াবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈশাখ উদযাপনে এই তিন এলাকায় আসা লোকজনকে ডিএমপির পক্ষ থেকে পানিও সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও পুলিশ সদস্যরা তাদের ফুল দিয়ে বৈশাখের শুভেচ্ছাও জানাবেন। সুষ্ঠুভাবে নববর্ষ উদযাপনের জন্য এবার ডিএমপি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আশা করছি কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ছাড়াই এবারের বৈশাখ উদযাপিত হবে। রমনা পার্ক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ওই এলাকায় কোনো হকার বসতে দেওয়া হবে না।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার আগে ও পরে ডিএমপির বিশেষ বাহিনী সোয়াতের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। কোনো বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান যাতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে এর উদ্দেশ্য ব্যাহত না করতে পারে সে দিকেও নজর দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদ আকতার হোসেন বলেন, বৈশাখ উদযাপনে ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্র¯‘তি নিয়েছে। চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিএনসিসির সদস্য ও চারুকলার নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা নিয়োজিত থাকবেন।
ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ বাহিনীর সদস্য ছাড়াও রোভার স্কাউডের প্রায় ৪০০ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় হেল্প নম্বর টানিয়ে দেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া কোনো গাড়ি রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর চলাচল করতে পারবে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দুটি গেট (রাজু ভাস্কর্য ও ছবির হাট) বন্ধ রাখা হবে এবং ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন খাবারের দোকান মুহসিন হলের মাঠে বসবে।