খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬: ভারতের বিপক্ষে কথা বললেই সরিয়ে দেওয়া হয়। এটাই যেন রীতি হয়ে গেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডে। এই তালিকায় এই ভাবেই অতীতে উঠে এসেছে অনেক নাম। ভোগলেই প্রথম নন। যদিও হর্ষ ভোগলেকে আইপিএল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে যে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নাম উঠেছে সেটা ভেবে অনেকটাই হতাশ হর্ষ ভোগলে।
সোমবার হর্ষ ভোগলে তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আমি এখনও জানি না আমি কেন আইপিএল-এ নেই। আমাকে এখনও কিছু বলা হয়নি। আমার এটা মেনে নিতে কোনও সমস্যা নেই যদি বলা হয় মানুষ আমাকে শুনতে পছন্দ করছেন না। কিন্তু আমার মনে হয় এমনটা নয়। কারণ ক্রিকেটাররা আমার কথা নিয়ে অভিযোগ করেছেন।’ হর্ষ ভোগলের আইপিএল থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর সামনে আসতেই তাঁর সপক্ষে ছেয়ে যায় টুইটার, ফেসবুক।
কিন্তু তিনিই প্রথম নন। অতীতে একাধিকবার হঠাৎ করেই সরে যেতে হয়েছে ধারাভাষ্যকারদের। ২০১২ সালে অরুণলালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ হিসেবে সেই সময় যেটা উঠে এসেছিল, অরুণলাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন। যে কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আইপিএল থেকে। এর পর ২০১৩তে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকরকে।
চুক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। কারণ তিনি বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসন ও আইপিএল সিইও সুন্দর রমনের সমালোচনা করেছিলেন। একই সময় নিউজিল্যান্ডের ড্যানি মরিসন, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাকারম্যানকে সরে যেতে হয়েছিল কারণ তাঁরা বিরাট কোহলিকে পরবর্তী অধিনায়ক বলেছিলেন। ধোনির লিডারশিপ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
কয়েক বছর আগে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন কারণ তাঁর চুক্তিতে দল নির্বাচন নিয়ে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। যা থেকে এটাই প্রমাণ হচ্ছে ধারাভাষ্যকাররা কী বলবেন সেটাও ঠিক করে দেবে বিসিসিআই।