খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬: সারাদেশ পুড়ছে খরতাপে। বাংলা বছরের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তিতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়ও রাজশাহী ও সাতক্ষীরা ৩৯.৫, রাজধানী ঢাকায় রয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তাপমাত্রা উঠে যেতে পারে ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত। তবে আদ্রতার কারণে গরম অনুভূত হবে আরো বেশি। সারাদেশের তাপমাত্রা রাতেও প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এদিন ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা রয়েছে ৯১ শতাংশ।
পহেলা বৈশাখে আর্দ্রতা আরও বাড়তে পারে, ফলে পহেলা বৈশাখ সন্ধ্যা নাগাদ ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে। তবে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিনই রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশিয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশে-পাশের এলাকায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে ঢাকা, ফরিদপুর, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, বরিশাল, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়া অঞ্চলসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে যে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে তা আরও ক’দিন অব্যাহত থাকবে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে আজ বুধবার কেবল সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন দেশের অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা ছিলো ঈশ্বরদীতে ৩৯, টাঙ্গাইলে ৩৮.৪, ফরিদপুরে ৩৮.২, বগুড়ায় ৩৮, বদলগাছী-দিনাজপুরে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ডিমলায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানাচ্ছে, এবার বৈশাখ মাসে কমপক্ষে চারটি বড় ধরনের কালবৈশাখী ঝড় দেশের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।