খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬: বাতাস দিয়েফোলানো এই যাদুঘরের উদ্যোক্তা ম্যানচেষ্টার যাদুঘর কর্তৃপক্ষ। ম্যানচেস্টার যাদুঘর তাদের যাদুঘরে প্রদর্শিত জিনিসপত্র স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেবার এক অভিনব উদ্যোগ হিসাবে বাতাস দিয়ে ফোলানো যাদুঘরের একটা সংস্করণ তৈরি করেছে। এই যাদুঘরে দর্শক যাওয়ার বদলে দর্শকদের দরজায় যাদুঘরকে পৌঁছে দেয়া হবে।
ম্যানচেস্টার যাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের যাদুঘর এতই জনপ্রিয় যে গতবছর যাদুঘরে দর্শনার্থীর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারের বেশি। গত বছর এই যাদুঘর দেখেছে সাড়ে চার লক্ষ মানুষ।
ভ্রাম্যমাণ যাদুঘরে শিশুরা প্রদর্শিত জিনিসপত্র ধরে দেখার সুযোগ পাবে। বাতাস দিয়ে ফুলিয়ে তৈরি এই যাদুঘর নিয়ে যাওয়া হবে দরিদ্র এলাকাতেও যেখানে সুযোগ বঞ্চিতরা যাদুঘরে প্রদর্শিত জিনিসগুলো দেখার সুযোগ পাবে।
ম্যানচেস্টারের একজন শিক্ষিকা বলেছেন আসল যাদুঘরটি বিশাল এবং জিনিসে ঠাসা, অনেক ছেলেমেয়েই তাই যাদুঘরে যেতে চায় না- তারা মনে করে গোটা ব্যাপারটা নিরস এবং বোরিং।
কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় বাতাস দিয়ে ফোলানো এমন এক যাদুঘর যা আবার বাতাস বের করে দিয়ে গুটিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাতে কী থাকতে পারে সেটাও ছোট ছেলেমেয়েদের কৌতূহলী করে তুলতে পারে।
যাদুঘরের একজন মুখপাত্র বলেছেন ভ্রাম্যমাণ যাদুঘর ফুলিয়ে প্র¯‘ুত করতে সময় লাগবে মাত্র তিরিশ মিনিট এবং শিশুদের এখানে প্রদর্শিত জিনিসপত্র ধরে দেখার সুযোগ থাকবে।
মূল যাদুঘরটি চালু করা হয়েছিল ১৮৯০ সালে এবং এটি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ।
সূত্র : বিবিসি বাংলা