খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬: অভিষেকের পর থেকেই বল হাতে চমক দেখিয়ে চলেছেন তিনি। কাটার, স্লোয়ারসহ বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে গেল এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাতিয়ে বেড়ান। সদ্য সমাপ্ত ভারত বিশ্বকাপেও খেলেছেন দুর্দান্ত। ইনজুরির কারণে বাছাই পর্ব ও মূলপর্বের প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারলেও শেষ তিন ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়িয়ে জানান দিয়েছেন নিজ সামর্থ্যের।
কাটার, স্লোয়ারসহ বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে গেল এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠ মাতানো মুস্তাফিজুর রহমান এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) খেলছেন। আইপিএলের নবম আসরে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি পেসার এখান থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে নিজের জন্য একটা মোটর সাইকেল এবং পরিবারের জন্য একটা গাড়ি কিনতে চান। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘মিড ডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান মুস্তাফিজ।
বললেন, ‘এবারের আইপিএল খেলে দেশে ফিরে আগে গ্রামের বাড়ি যাবো। নিজের জন্য একটা মোটর সাইকেল আর পরিবারের জন্য একটা প্রাইভেট কার কিনতে চাই।’
এর আগে, নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রাইজমানি দিয়ে পরিবারের সদস্য ও কাছের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে খাবারের আয়োজন করেছিলেন মুস্তাফিজ। ‘আমার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর যে প্রাইজ মানি পেয়েছিলাম ওটা দিয়ে পরিবারের সদস্য ও কাছের বন্ধুদের নিয়ে একটা ছোটখাটো খাবারের আয়োজন করেছিলাম।’
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মুস্তাফিজ। সেদিন বিরাট কোহলি-এবি ডি ভিলিয়ার্সদের ব্যাটিং তান্ডবে অসহায় ছিল হায়দ্রাবাদের বোলাররা। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন একমাত্র মুস্তাফিজ। তিনি মাত্র ২৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
আইপিএলে গিয়ে ভাষাগত বিড়ম্বনার কারণে সবার সঙ্গে মন খুলে কথা না বলতে পারলেও চেষ্টা করছেন অনেক কিছু শিখতে। আর হায়দ্রাবাদ সতীর্থরাও বাংলাদেশের এই ‘বিস্ময় বালক’কে শেখাতেও আগ্রহী।
বললেন, ‘ট্রেন্ট বোল্ট ও আশিষ নেহরাদের মতো বোলারদের সঙ্গে এখানে অনুশীলন করছি। তারা সবাই খুবই খোলা মনের মানুষ। ভাষা বুঝি না কিন্তু তারপরও তারা আমাকে অনেক কিছু শেখাতে আগ্রহী। আইপিএলের প্রথম আসর থেকে সত্যিই আমি অনেক কিছু শিখছি