খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৬: থানায় নিয়ে নির্যাতন করে জনি নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে পল্লবী থানার তিন পুলিশ ও দুই সোর্সের বিচার শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা রোববার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের ফলে এই মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে।
আদালত সাক্ষীর জন্য ১৬ মে দিন ধার্য করেন। যাদের বিচার শুরু হয়েছে তারা হলেন, পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি মিরপুর ১১নং সেক্টরে স্থানীয় সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তার ভাই পুলিশের সোর্স সুমনকে চলে যেতে বলেন।
সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লশিকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে যায়। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। পরে তাদের থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থা আরও খারাপ হলে জনির মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার সাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্র“য়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।