খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০১৬ : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হিসেবে অভিযোগ আনা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে এবং গতকাল তাঁর বাসায় তিনি (শফিক রেহমান) নিজেই ডিবির হাতে যেসব প্রমাণ তুলে দিয়েছেন, এরপর এ নিয়ে কারও সন্দেহের অবকাশ থাকার কথা নয়। আমার মনে হয়, এখন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বুঝতে পারবে, তার যে অভিযোগ ছিল, তা তথ্যভিত্তিক ছিল না।’
আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এর আগে গত শনিবার ইমরান এইচ সরকার তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘প্রবীণ (৮১ বছর) সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে আমি একমত নই। ভিন্নমতের হলেই তাকে দমন করার যে নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল, এর একটা অবসান চাই।’
এর পরদিন সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে ক্ষমা চাইতে বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এটা সুগভীর ষড়যন্ত্র। প্রকাশ্য আন্দোলন করে যাঁরা সরকার হটাতে ব্যর্থ হয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, হয়তো এখন তাঁরাই অন্ধকারের পথ বেছে নিয়েছেন। আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতার বাইরে বেশি দিন থাকার অস্থিরতা থেকেই তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় যাওয়ার অভিসন্ধি থাকতে পারে। তবে মন্ত্রী এসব কথা বলতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেননি।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এফবি আইয়ের অভিযোগ ও আদালতে তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে দণ্ড হয়েছে। সেখানে জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি এসেছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বিষধর সাপ বেরিয়ে আসছে।