খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৬: চলতি সপ্তাহে রাজধানীর কাঁচাবাজার স্থিতিশীল রয়েছে। কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। ভারতে পেঁয়াজের মূল্য রেকর্ড পরিমাণ কমার কারণেই দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন দোকানিরা।
শুক্রবার রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায় বেগুন, বরবটি, পটল, টমোটো ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু (বড়) বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা কেজিতে। তবে দেশীয় ছোট আলুর দাম প্রতি কেজি ২৫ টাকা। দোকানিরা জানান গত সপ্তায়ও কাঁচা মালের দাম একই রকম ছিল।
মোহাম্মদ মিলন নামে এক বিক্রেতা জানান, পণ্যের মূল্য গত সপ্তাহের মতোই আছে। বাজারে এখনও প্রচুর শাকসবজি মিলছে। ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় দুই সপ্তাহ আগে দাম কিছুটা বেড়েছিল। এখন আবার তা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে।
কাঁচা দ্রব্যের মূল্যে পরিবর্তন না এলেও পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ভারতে পেঁয়াজের মূল্যে ধস নামে। এ খবর গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়তে থাকে।
গত সপ্তায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও হাতিরপুল বাজারে শুক্রবার ৩৫/৩৬ টাকায় মিলছে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৫ টাকা কেজি।
দোকানদার সুমন মিয়া বলেন, ভারতের পেঁয়াজের উপরেই এখানকার বাজার ওঠানামা করে। ও দেশে বাজার কমলে-বাড়লে ক্রেতা-বিক্রেতারা পরক্ষণেই জেনে যায়। সঙ্গে সঙ্গে এখানকার বাজারের তার প্রভাব পড়ে। পেঁয়াজের বাজার আরো কিছুটা কমার সম্ভববনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যদিকে মাছ এবং মাংসের বাজারেও স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। তবে ইলিশের দাম অনেকটাই কমেছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। ৮শ’ গ্রামের প্রতি পিছ ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষবরণের আগে এর দাম ছিল ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। তবে হিমাগারে সংরক্ষিত একই সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে হাজার টাকায়।
বাজরের মাছ বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, গত বছর এই দিনে ইলিশের দাম আরো কম ছিল। ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকলেও যোগান কম। এ কারণে ইলিশের দাম কিছুটা বেশি।