খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাসপোর্ট প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। এ নাগরিক অধিকারের বাস্তবায়নে সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা এবং বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের পাসপোর্ট প্রদানের পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রতিটি সদস্য জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পেশাগত দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন।
দেশপ্রেম, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে পাসপোর্ট সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিবেন। তিনি আজ পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ- ২০১৬ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর আগামীকাল ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৬’ উদযাপন করবে।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে পাসপোর্ট পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করার মাধ্যমে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। বঙ্গবন্ধু এ অধিদপ্তরকে গতিশীল করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ও ভিসা আবশ্যকীয় দলিল।
সরকার ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা এর সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রবর্তন করে, যা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ভিসার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের পর থেকে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে আইসিএও’র সুপারিশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ চ্যালেঞ্জ সফলতার সাথে মোকাবিলা করি। সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই প্রবাসী বাংলাদেশীদের এমআরপি প্রদান করি। এ পর্যন্ত বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ৩ লাখ মেশিন রিডেবল ভিসা প্রদান করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ- ২০১৬’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।