খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৬: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে আটক যুবক ইসলামী ছাত্র শিবিরের ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খন্দকার জাহিদুল ইসলাম রোববার বিকালে জনান, শনিবার রাতে নগরীর ছোটবোনগ্রাম এলাকার বাসা থেকে হাফিজুর রহমান নামের ওই যুবককে তারা আটক করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাফিজুর মহানগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি।
তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন সকালে এক যুবককে আটকের খবর দিলেও সে সময় ওই যুবকের পরিচয় প্রকাশ করেননি, কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না- তাও তিনি বলেননি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষককে।
মোটর সাইকেলে আসা দুই যুবক তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পুলিশ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে শনিবারই খবর দেয় জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী এক ওয়েবসাইট। পুলিশ কমিশনার নিজেও জঙ্গি গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতার সন্দেহের কথা বলেছেন।
নিহত অধ্যাপকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ শনিবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করার পর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই তদন্তের সার্বিক দিক তদারকির জন্য গঠিত ‘মনিটরিং টিমের’ সদস্যরা রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন।
উপাচার্য বাসভবনে ওই বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন এবং মনিটরিং টিমের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার তমিজউদ্দিন সরদার।
তমিজউদ্দিন সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, “চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনাকে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। আশা করছি, হত্যায় জড়িতদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।”
কমিশনার শামসুদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাইরে থাকেন, তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পরিচয় ও ঠিকানা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।