খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির কথা না হয় বাদই থাক, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও প্রায় দুই শর কাছাকাছি ম্যাচ খেলে সেঞ্চুরি ছিল না বিরাট কোহলির। একবার থামতে হয়েছে ৯৯ রানেও! অবশেষে সেঞ্চুরি পেলেন কোহলি। তবে এ সেঞ্চুরিও কাজে লাগেনি, গুজরাট লায়ন্সের কাছে তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হেরেছে ৬ উইকেটে।
কোহলির সেঞ্চুরিটি এসেছে দারুণভাবে। ১৯.৩ ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রান ১৬৫, কোহলি অপরাজিত ৮৬ রানে। ডোয়াইন ব্রাভোর চতুর্থ বলেই ছক্কা, ৯২। পরের বল ফুল টস, সোজা ব্যাটে খেললেন। লং অন কিংবা লং অফে দাঁড়ানো ফিল্ডার কোনো সুযোগই পেলেন না। চার মেরে ৯৬। ব্রাভোর শেষ বলটি ছিল ইয়র্কার, এটাও শর্ট থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে চার, ১০০! শেষ তিন বলে ১৪ রান করেই কোহলি পেলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ছিলেন চূড়ান্ত ফর্মে। পাঁচ ম্যাচে ১৩৬.৫ গড়ে ২৭৩ রান। কোহলির সে ফর্ম চলছে আইপিএলেও। ৭৫, ৭৯, ৩৩, ৮০, ১০০*—এ আসরে কোহলির পাঁচ ইনিংস! এবারে আইপিএলে বেঙ্গালুরুর ম্যাচ মানেই যেন ব্যাট হাতে কোহলির জ্বলে ওঠা।
অবশ্য এবার বেঙ্গালুরুর ম্যাচ মানেই আরেকটি বিষয়ের নিশ্চয়তা, কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের বড় জুটি। পাঁচ ম্যাচেই জুটি গড়েছেন এই দুজন। তাতে সেঞ্চুরি জুটি ৩টি, বাকি দুটি পেরিয়েছে ফিফটি। প্রায় নিয়ম মেনেই ওপেনিংয়ে নামা শেন ওয়াটসন আউট হয়েছেন দলের ৮ রানে। এরপর এবি ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে কোহলির ৫১ রানের জুটি। ৫৯ রানে এবি ফিরলেও থামেননি কোহলি। লোকেশ রাহুলকে (৫১*) নিয়ে অপরাজিত ১২১ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দিয়েছেন ১৮০ রানের বড় স্কোর।
তবে কোহলির এমন বীরত্বও পারেনি বেঙ্গালুরুকে বাঁচাতে। গুজরাট ব্যাটসম্যানদের ‘দশে মিলি করি কাজ’ নীতি হার মানিয়ে দিয়েছে কোহলিকে। বড় স্কোর কেউ না পেলেও ডোয়াইন স্মিথ, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, সুরেশ রায়না ও দীনেশ কার্তিকের কার্যকর ইনিংসগুলোই গুজরাটকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছে।