Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

21খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬: টাকা রোজগারের জন্য কেউ হন ব্যবসা, কেউ করেন চাকরি আবার কেউবা ভিন্ন কোনো পেশা বেছে নেন। সাধারণত স্রেফ বেঁচে থাকার তাগিদে অক্ষম মানুষরা ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়। তবে এমনও অনেক আছেন যারা ভিক্ষাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদের আয় অনেক ব্যবসায়ীর চেয়েও বেশি। দিনের বেলা তিনি শতছিন্ন জামা পড়ে, তোবড়ানো থালা হাতে মানুষের কাছে হাত পাতেন। আর রাতে শুতে যান বিলাসবহুল নিজস্ব ফ্ল্যাটে। ভারতের এমন কিছু লাখপতি ভিক্ষুকদের খোঁজ দিচ্ছি আপনাদের। চিনে নিন তাদের-
কৃষ্ণ কুমার গিটে : মুম্বইয়ের চারনি রোড এলাকায় গেলে কৃষ্ণ কুমারের দেখাও পেয়ে যেতে পারেন আপনি। ভিক্ষাবৃত্তি করে তিনি দৈনিক ১ হাজার ৫০০ রুপি রোজগার করেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে থাকেন নাল্লাসোপারার একটি অ্যাপার্টমেন্টে।

ভরত জৈন : ভারতের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক তিনি। ৪৯ বছরের ভরতের মুম্বইয়ের প্যারেল এলাকায় রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট। এগুলির প্রত্যেকটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লাখ রুপি করে। তার মাসিক আয় ৬০ হাজার রুপির কাছাকাছি।
সারভাতিয়া দেবী : পাটনায় অশোক সিনেমা হলের পিছনে ভিক্ষা করেন তিনি। তিনিই ভারতের তৃতীয় ধনী ভিক্ষুক। বছরে ৩৬ হাজার রুপি এলআইসি প্রিমিয়াম দেন তিনি।
শম্ভুজি : ভিক্ষা করার জন্য মুম্বইয়ের সুবারবান এলাকাই সবচেয়ে পছন্দ তার। শম্ভুজির দৈনিক রোজগার প্রায় এক হাজার রুপি। শোলাপুরে রয়েছে তার নিজস্ব বাড়িও। শম্ভূজির মতে, এই পেশা তার খুবই ভাল লাগে। কারণ এখানে কোনও ইনভেস্টমেন্ট নেই।
লক্ষ্মীদেবী : তার প্রথম ভিক্ষা জীবনের শুরু কলকাতা থেকে। পোলিওতে দু’পা-ই অক্ষম। ১৯৬৪ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে আছেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬। ৫০ বছরের লক্ষ্মীদেবীর বিপুল ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স। ব্যাঙ্ক থেকে তাকে ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
মালানা : ধনী ভিক্ষুকদের মধ্যে তিনি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। মালানার একটি অটোরিক্সা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে অটো চালিয়ে ভিক্ষার জায়গায় পৌঁছান তিনি। পোশাক পরিবর্তন করে ভিক্ষা করতে বসেন। ৮-১০ ঘণ্টা তাঁর ডিউটি। এই করেই বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি।