খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৬: ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তনয়কে হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আলামত পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আজ বুধবার সকালে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে তিনটি গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার। ডিএমপির সদর দপ্তরে এই অনুষ্ঠান শেষে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, তাঁরা জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন, নাকি আর্থিক কোনো বিষয়ের কারণ রয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখন সুস্পষ্ট মন্তব্য করার মতো সময় হয়নি।
আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) কথিত বাংলাদেশ শাখা ‘আনসার আল ইসলাম’-এর হত্যার দায় স্বীকার সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ধরনের যত ঘটনা ঘটে, তার দুই-এক ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ থেকে এ নিয়ে দায় স্বীকারের কথা বলা হয়। এর যৌক্তিকতা এবং বাস্তবতা কতটুকু আছে, তা ভেবে দেখা দরকার। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার কলাবাগানের একটি বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুবকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে কর্মরত ছিলেন। মাহবুব ছিলেন লোকনাট্য দলের সঙ্গে যুক্ত। দুর্বৃত্তদের কোপে আহত বাড়ির প্রহরী পারভেজ মোল্লা এবং কলাবাগান থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মমতাজ উদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। নিহত জুলহাজ মান্নানের ভাই মিনহাজ মান্নান হত্যা মামলাটি করেছেন। সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের কাছে দায়িত্ব পালন করা উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ। দুটি মামলায়ই অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্র বলেছে, পালিয়ে যাওয়ার সময় এক দুর্বৃত্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা ব্যাগ থেকে পাওয়া একটি দেশি ও একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, চাপাতি, একটি গামছা, একটি লুঙ্গিসহ নয় ধরনের আলামত পাওয়া গেছে। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে পুলিশ। এক পুলিশ সদস্য ব্যাগটি উদ্ধার করেন। পালাতে থাকা দুর্বৃত্তদের আটকাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হন এএসআই মমতাজ।